এই ম্যাচ হারলেই নিশ্চিত হতো ষষ্ঠ বিপিএল থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সেই খুলনা টাইটান্স নিজেদের নবম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়ে জানিয়ে রাখলো এত সহজে হাল ছাড়ছে না তারা। তিন ম্যাচ হারের পর খুলনার জ্বলে ওঠায় কপাল পুড়তে বসেছে তলানির আরেক দল সিলেট সিক্সার্সের।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনার দেয়া ১৭১ রান তাড়া করতে গিয়ে ২১ রানে হেরে গেছে সিলেট। নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান তুলতে পেরেছে সোহেল তানভিরের দল।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হলো খুলনার। এক ম্যাচ কম খেলে সিলেটের পয়েন্টও তাই। তাই শেষ চারে থাকতে হলে এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই জিততে হবে সিলেট ও খুলনাকে। একইসঙ্গে এই দুই দলকে কামনায় থাকতে হবে সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার ও পাঁচে থাকা রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংস যেন বাকি ম্যাচগুলোতে জয় বঞ্চিত হয়।
টিকে থাকার লড়াইয়ে খুলনার হাতে ম্যাচ বাকি আছে তিনটি। আর সিলেট পাচ্ছে চারটি ম্যাচ।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের শুরুটা হয় হোঁচট দিয়ে। শুভাশিস রায়ের প্রথম বলে ব্যাটে খোঁচা লাগিয়ে বোল্ড হন লিটন দাস। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা ছিলো নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে ডাক পাওয়া সাব্বির রহমানের।
সেই প্রতিরোধ স্থায়ী হয়েছে ৩২ রান পর্যন্ত। ১৩ রান করা সাব্বিরকে ভিসের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। এরপর দ্রুতই ২৯ রান করা আফিফ ও ১১ রানে অলোক কাপালিকে ফিরিয়ে সিলেটের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন তাইজুল। ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন টাইগারদের এই টেস্ট স্পিনার।
সেই অবস্থায় সিলেটকে ম্যাচে ফেরায় নিকোলাস পুরান ও মোহাম্মদ নেওয়াজের ৮১ রানের জুটি। দুই বিদেশির জুটিতে ভর করে জেতারও স্বপ্ন দেখছিলো সিলেট। ২৮ রান করে পুরান ভিসের বলে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ হলেও হাল ধরেছিলেন নেওয়াজ। তুলে নেন ম্যাচের একমাত্র ফিফটিও।
তবে ৩৪ বলে ২চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ রান করে নেওয়াজ বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই সেই কাঁটা দূর করেন জুনায়েদ খান। নিশ্চিত হয় খুলনার দ্বিতীয় জয়।
এর আগে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ব্রেন্ডন টেইলরের ৩০ বলে ৪৮ আর ডেভিড ভিসের ২৪ বলে ৩৮ রানে ভর করে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ পায় খুলনা টাইটান্স।