মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, আবার রাসায়নিক হামলা চালানো হলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও বিমান হামলা করতে পুরোপুরি তৈরি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ট্রাম্পের এই ঘোষণার কথা জানান জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলি।
শনিবার সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হামলা বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাব পাশ না হওয়ায় শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের।
রাসায়নিক হামলার অভিযোগ এনে শনিবার ভোর থেকেই সিরিয়ায় যৌথ বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা শহরে হওয়া রাসায়নিক হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দেশ তিনটির পক্ষ থেকে দেয়া তথ্যে জানায় বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই সময়েই তিনি জানান, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং যৌথ অভিযান অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
হামলার পর একে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়ে হামলা বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পেশ করে রাশিয়া।
নিন্দা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে রাশিয়া, চীন ও বলিভিয়া পক্ষে ভোট দেয়। আটটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় আর চারটি দেশ বিরত থাকে ভোটদান থেকে। ফলে বাতিল হয়ে যায় রাশিয়ার প্রস্তাব।
প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সিরিয়া এবং রাশিয়া। হামলার পক্ষে মিত্র রাষ্ট্রসহ নিজেদের অবস্থান জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান।
সিরিয়ায় পাঠানো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ১০৩টি ক্রুজ মিসাইলের ৭১টিই মাঝ আকাশে ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। সিরিয়ার এক সাবেক কর্মকর্তাও জানিয়েছেন এ হামলায় তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে দামেস্কের একটি রাসায়নিক গবেষণাগার ধ্বংস হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তারা।
সিরিয়ার ওপর এ বিমান হামলাকে সমর্থন জানিয়েছে ন্যাটো, জার্মানি ও তুরস্ক। সিরিয়ার পূর্ব ঘোটাকে বিদ্রোহীমুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।