সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধীদের ওপর বিমান হামলা আরও জোরদার করেছে রাশিয়া। পশ্চিমা বিশ্ব হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুর দাবি করলেও প্রথম থেকেই রাশিয়া একে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর ওপর হামলা বলে আসছে।
সিরিয়া ইস্যুতে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন রুশ ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট।
বহুদিন ধরেই সিরিয়া ও প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত রাশিয়া। আইএস-এর ঘাঁটি জেনেও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির মতো সিরিয়ায় কোনো সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
শেষ পর্যন্ত যখন রাশিয়া সিরিয়ায় আইএস বিরোধী বিমান হামলা চালালো তখন থেকেই সন্দেহের দৃষ্টি পশ্চিমাদের।
মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবসারভেটরি জানিয়েছে, সিরিয়ার রাক্কায় আইএস-এর একটি ট্রেনিং ক্যাম্পে এক রুশ বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। তবে ভিন্নসুর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের।
তারা বলছে, আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযানের নামে রাশিয়া সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধী শক্তিকে দমনের চেষ্টা করছে। আলেপ্পোসহ বিভিন্ন সিরীয় শহরে আসাদবিরোধী ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’র ওপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে।
পশ্চিমাদের দাবি, রুশ অভিযানে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ; তাতে সহিংসতা কমবে না, বরং বাড়বে।
পশ্চিমাদের অভিযোগে বিচলিত নয় রাশিয়া। বৃহস্পতিবার থেকে কমপক্ষে ১২টি আইএস স্থাপনায় হামলার কথা জানানো হয়। রুশ পার্লামেন্টের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির প্রধান অ্যালেক্সি পুশকভ বলেছেন, ৩-৪ মাস পর্যন্ত সিরিয়ায় বিমান হামলা চলতে পারে।
প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার কথা থাকলেও শুধু সিরিয়া ইস্যুতেই কথা হয়েছে ১ ঘণ্টা।
ওলাঁদ জানিয়েছেন, কী করে সিরিয়া ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবধান ঘোচানো যায়, তাই ছিলো আলোচনার মূল অংশ জুড়ে।