সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক হামলার জবাব দিতে সব ধরনের সম্ভাব্য উপায় ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা নেতারা এক্ষেত্রে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, সামরিক প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করা হলেও এখনই সামরিক হামলা বা অভিযান চালানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে স্যান্ডার্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এক্ষেত্রে বেশ কিছু উপায় বাতিল করে দিয়েছেন এবং আরও বেশি কিছু বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে এখনো আমরা সেসব বাস্তবায়নে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ ঠিক করিনি।’
এর আগেই সিরিয়ার রাসায়নিক হামলায় জড়িতদের জোরালো জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছিলেন, খুব দ্রুতই পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এ পদক্ষেপ নেবে মার্কিন প্রশাসন।
বুধবার ভোরেই ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় সিরিয়ায় মিসাইল হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে রাশিয়াকে তৈরি থাকতে বলেন। টুইটে তিনি বলেন: ‘তৈরি থাকো রাশিয়া। কারণ ওরা (মিসাইল) আসছে, ওরা দারুণ, নতুন এবং ‘স্মার্ট’!’
Russia vows to shoot down any and all missiles fired at Syria. Get ready Russia, because they will be coming, nice and new and “smart!” You shouldn’t be partners with a Gas Killing Animal who kills his people and enjoys it!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) April 11, 2018
শুধু তাই নয়, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘গ্যাস প্রয়োগে হত্যাকারী পশু’ বলেও সেখানে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
তবে যুক্তরাষ্ট্র রাসায়নিক হামলার জন্য রাশিয়া এবং সিরিয়া সরকারকেই দায়ী মনে করছে বলে জানান তিনি।
অবশ্য রাশিয়ার সেনাবাহিনী সমর্থিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কোনো ধরনের রাসায়নিক হামলায় জড়িত থাকার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন।
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুমা শহরে শনিবারের ওই হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানিয়েছেন সেখানে দায়িত্বরত অ্যাক্টিভিস্ট, উদ্ধারকর্মী এবং মেডিকরা। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।