সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে মঙ্গলবার ‘রাসায়নিক হামলায়’ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বারাক ওবামাকে দায়ী করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।২০১২ সালে বারাক ওবামার রাসায়নিক অস্ত্র বন্ধে রেড লাইন তৈরি করার কথা থাকলেও তিনি কিছুই করেননি।
ওবামা সরকারের নীতির কারণেই সিরিয়াকে আবার এমন ঘৃণ্য রাসায়নিক হামলার শিকার হতে হলো বলে দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার সকালে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতি এসব কথায় জনায়।
সিরিয়ার এই হামলা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, এই হামলায় অনেকেই মারা গেছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। এর প্রভাব সিরিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের উপর পড়বে। সিরিয়ার সরকারের দুবর্লতা এবং অস্থিরতার থেকেই এমন জঘন্য হামলা চালিয়েছে বাশার আল-আসাদ সরকার।
সিরিয়ার বিষয়ে ওবামানীতির পরিবর্তে ট্রাম্পের নীতি কী হবে এবিষয়ে এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ওবামানীতি থাকবে না বলে জানিয়ে সিরিয়ার হামলা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে কোন কথায় বলেনি হোয়াইট হাউজ।
এদিকে সিরিয়ায় ‘রাসায়নিক হামলায়’ বেসামরিক মানুষদের ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এবং আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিক্রিয়ার ফল হিসেবেই বুধবার অনুষ্ঠিতব্য জরুরি বৈঠকটি ডেকেছে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টেলারসন এসময় সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ জর্ডান সীমান্ত পরির্দশন করেন কিন্তু এবিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
মঙ্গলবার ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করলেও সিরিয়ার হামলার ব্যপারে কিছু বলেননি ।
তবে বুধবার ওবামা প্রশাসনের গৃহিত নানা ধরণের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা সম্বলিত প্রেসিডেন্টের একটি বিবৃতি পড়ে শুনান হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র।সেখানে ট্রাম্প বলেন ২০১২ সালে রাসায়নিক অস্ত্র বন্ধে রেড লাইন তৈরি করার কথা ছিলো কিন্তু তিনি কিছুই করেননি।এরপরে সিরিয়ার আসাদ সরকার ২০১৩ সালে শাসন চালাতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে।ওবামা প্রশাসন তখন বিমান হামলা না চালিয়েই রাশিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র মুক্ত ঘোষণা করেন।এই বিবৃতিতে ওবামা প্রশাসন খেকে ঠিক ট্রাম্প প্রশাসন কতটুকু আলাদা হয়ে কাজ করবে তা বলেনি।২০১৩ সালের হামলার পরে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প তখন আমেরিকার প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেন।
মঙ্গলবার হামলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের আসাদ সরকার, রাশিয়া এবং ইরানের বিরুদ্ধে ঠিক কোন ভূমিকা নেবে তা স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি।তবে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টেলারসন হামলার জন্য মস্কো এবং তেহরানকে দায়ী করেন।