সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১২ জন। সন্দেহভাজন তিনটি গাড়িকে ধাওয়া করে পুলিশ দুটিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারলেও তৃতীয়টি বিস্ফোরণ ঘটায়। গাড়িটি তাহরির স্কোয়ারে ঢুকে পড়লে তা ঘিরে ফেলে পুলিশ, তখনই তা বিস্ফোরিত হয়। দেশটিতে ঈদুল ফিতরের পর প্রথম কর্মদিবসেই এই হামলাটি ঘটলো। এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, ব্যস্ত এলাকায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিলো। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসীদের এই বোমা হামলায় বহু হতাহতসহ এলাকাটির অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় একজন অধিবাসী এএফপিকে জানায়, প্রথমে গোলাগুলির শব্দ শুনি এবং পরে বিকট বিস্ফোরণে আশেপাশের বাড়িগুলোর কাঁচ ভেঙ্গে যায়।
৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে দামাস্কাস প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিলো অধিকাংশ সময়। তবে এরপরও এখানে কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। মার্চে দুইটি বোমা হামলায় ৪০ জন নিহত হয়, যার দায় স্বীকার করে আল-কায়েদার সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি জঙ্গি দল। এর কয়েকদিন পর রাজধানীর প্রধান কোর্ট কমপ্লেক্সে হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মাধ্যমে ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানায়, সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং আরও ৬৩ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ ভাবেই স্থানচ্যুত হয়েছে।
এই ধরণের হামলা এখন আরও স্বাভাবিক হয়ে উঠছে মন্তব্য করে বিবিসির আরব বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার বলেন, কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ড হারাচ্ছে, তাই অস্থিতিশীলতা প্রমানের জন্য সফট টাগের্টে হামলা চালানোর কৌশল নিয়েছে তারা।