ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড থেকে: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ তে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটে বলে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার কে?
এমন প্রশ্নে পরিসংখ্যান কী বলে? এক বাক্যে উত্তর হলো সাকিব আল হাসান।
ব্যাট হাতে সাকিবের চেয়ে ১৮ রান বেশি করা কিউই ওপেনার টম লাথাম হয়তো তালিকার শীর্ষে।
কাগজে কলমে তালিকায় দ্বিতীয় সাকিব। কিন্তু দুই টেস্টের চার ইনিংস মিলিয়ে সাকিবের পরিসংখ্যানই বেশি আকর্ষণীয়। ৪ ইনিংসে লাথামের রান ৩০২, সাকিবের ২৮৪। সর্বোচ্চ সাকিবের ২১৭ আর লাথামের ১৭৭, সাকিবের গড় ৭৭.৫৯ আর লাথামের ৫৬.৮৭। সিরিজে সাকিব আল হাসান বাউন্ডারি মেরেছেন ৪১টি, টম লাথাম ৩৬।
১টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করে দুজনই সমানে সমান। কিন্তু দলের বিপদ ও কন্ডিশন বিবেচনায় এগিয়ে থাকবেন বাংলাদেশী অলরাউন্ডার। ওয়ানডে এবং টি২০ সিরিজের পর প্রেস মিটে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজে নিজের বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও ব্যাট হাতে অসন্তুষ্ট তিনি। টেস্ট সিরিজে তার হারানো ফর্ম ফিরে পাওয়ায় মূলত দুটি টেস্টেই লড়াই করার মতো পুঁজি গড়েছিলো বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজে বোলিংয়ে হয়তো বেশি উজ্জল নয় সাকিবের বোলিং। কিন্তু বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তার পরিসংখ্যানই সবাইকে ছাড়িয়ে। দুই টেস্টে ৬ উইকেট তার। ৬টি উইকেট অবশ্য আছে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বিরও। কিন্তু গড় হিসেবে এগিয়ে সাকিব আল হাসানই। রাব্বির গড় ৩৬.১৬ আর সাকিবের ৩১.০০।
শুধু ব্যাটে বা শুধু বলে আলাদা করা গেলেও একসঙ্গে চিন্তা করলে এই সিরিজের সেরা পারফরমারের নাম সাকিব আল হাসান।
যদিও ওয়েলিংটন এবং ক্রাইস্টচার্চে দুই টেস্টের শেষ দুটি ইনিংসে তার আউট হওয়ার ধারণ নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, এটিই সাকিব আল হাসানের স্টাইল। আউট হওয়ার সময়ে যে কাট শটগুলো খেলেছিলেন তা খেলেই বড় ইনিংসগুলো এসেছে তার, হয়তো আগামীতেও আসবে। তাই যে যাই বলুক, নিজের খেলার দিকেই মনোযোগী সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্টে এখনও সাকিবই মূল ভরসা টাইগারদের।