চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সিরিজের ভাগ্য লেখা হবে নাগপুরে

মাহমুদউল্লাহদের ৮ উইকেটে হার, সিরিজ ১-১ সমতায়

ম্যাচটা জিততে পারলে রাজকোটেই লেখা যেত ইতিহাস। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ প্রথম সুযোগটা কাজে লাগাতে পারল না। ভারতের কাছে হেরে গেল ৮ উইকেটে।

দিল্লিতে ৭ উইকেটে জিতে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজে এখন ১-১’এ সমতা। সিরিজ ফয়সালার জন্য অপেক্ষা ১০ নভেম্বর নাগপুরের ম্যাচ পর্যন্ত।

রাজকোটের ব্যাটিং স্বর্গে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ রান তুলেছিল ৬ উইকেটে ১৫৩। ৮ উইকেট আর ২৬ বল হাতে রেখেই সেটি টপকে যায় ভারত।

এমন উইকেটে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য ১৫৪ লক্ষ্য যে মোটেও চ্যালেঞ্জিং নয়, সেটা ভারত পাওয়ার প্লেতেই বুঝিয়ে দেয়। কোনো উইকেট না হারিয়ে তোলে ৬৩। ম্যাচের জয়সূচক রান তোলার পর যখন জয়োল্লাসে ব্যস্ত ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, তখন খরচ কেবল ১৫.৪ ওভার।

বাংলাদেশের রান বড় না হওয়ায় হয়তো খানিকটা আক্ষেপে পুড়তে পারেন রোহিত শর্মা নিজেও। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। মাইলফলক স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার কোন ত্রুটিই ছিল না। ২৩ বলে তুলে নেন ফিফটি, পেতে পারতেন আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরিও। ৪২ বলে ৮৫ রান করে আমিনুল বিপ্লবের বলে যখন সাজঘরের পথে ফিরেছেন, শততম ম্যাচে শতকের সুযোগ নিজেই ছুঁড়ে এসেছেন ততক্ষণে। যখন ফিরছেন দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৯, আর রোহিতের শতকের দরকার ছিল কেবল ১৫।

দ্বিতীয় ওভারে শফিউলকে প্রথম বলেই চার মেরে শুরু, এরপর যাকেই সামনে পেয়েছেন তাকেই কচুকাটা করেছেন রোহিত। এর মাঝে মোস্তাফিজুর রহমানের করা চতুর্থ ওভারেই নেন ১৫ রান, ষষ্ঠ ওভারে শফিউলকেও দেন একই রানের শিক্ষা। ফেরার আগে সমান ৬ চার ও ছক্কায় বাংলাদেশের আসল ক্ষতিটা করে গেছেন তিনিই।

রোহিতের আলোয় একদমই যেন ঢাকা পড়ে গেছেন শেখর ধাওয়ান, অথচ ম্যাচে ধুমধাড়াক্কা মারের শুরু হয়েছিল তার হাত ধরেই। মোস্তাফিজের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে টানা দুই চার মেরে বাংলাদেশের বোলিংয়ের গিঁটটা আলগা করে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানই। ২৭ বলে ৪ চারে ৩১ করা শেখরকে আউট করে জুটি ভাঙেন আমিনুল বিপ্লব। চার ওভারে ২৯ রানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে টাইগারদের সেরা বোলার এ লেগি।

অবশ্য ভারত যে এভাবে হেসে খেলে ম্যাচ জিততে চলেছে তা টের পাওয়া গেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ দেখেই! যেকোনো টি-টুয়েন্টিতে ১৫৩ চ্যালেঞ্জিং একটি স্কোর। কিন্তু রাজকোটের উইকেট ব্যাটিং অনুকূল হওয়ায় রেকর্ড বলে পরে ব্যাটিং করা উচিত। রেকর্ড দেখে টস জিতে ফিল্ডিং করতে তাই দ্বিতীয়বার ভাবেননি রোহিত, বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে ম্যাচ যেন জিতে নেন শুরুতেই। শেষঅবধি বড় ইনিংস গড়তে না পারার মাশুল দেয় বাংলাদেশ।