শেষ ডেলিভারিতে ছক্কা হজম করতে না হলে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বোলিং ফিগারটা হতো দেখার মতো! যা হয়েছে, ৪ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট। এটিও কম নজরকাড়া নয়। রোহিত-ধাওয়ানের সামনে মোস্তাফিজ-মোসাদ্দেকরা যখন দিশেহারা, তার মাঝেই অসাধারণ বোলিং করে গেলেন তরুণ লেগস্পিনার। রাজকোটের ২২ গজে তাণ্ডব চালানো দুই ওপেনারকেই পাঠিয়েছেন সাজঘরে, দারুণ দুই ডেলিভারিতে।
দিনশেষে হার হতাশার হলেও তাই আলাদা করে আমিনুলের বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ‘উইকেট যেমন ছিল তাতে রিস্ট স্পিনাররা সহায়তা পেয়েছে। চাহাল যেমন ভালো করেছে, আমিনুলও। খুবই ভালো হয়েছে ওর বোলিং। আশা করি ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে।’
আমিনুল কুড়িতে পা দিয়েছেন বুধবার। জন্মদিনের ২৪ ঘণ্টা পার হতেই ম্যাচে নেমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন আরও একবার। তাকে সমীহ করেই খেলতে হয়েছে রোহিত-ধাওয়ানকে। টার্নের মুখে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি ধাওয়ান। আর ডানহাতি রোহিত বলের গতি বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন ডিপ মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে।
রাজকোটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ১৫৪ তাড়া করে ভারত জিতেছে ৮ উইকেটে, ২৬ বল হাতে রেখেই। বাংলাদেশের অন্য বোলাররা খরুচে হওয়ায় চাপ ছিল আমিনুলের উপর। সেটি জয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ডট বল করেছেন ৯টি। প্রতি ডেলিভারিতেই উইকেটের পেছন থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন যুগিয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম।
দিল্লিতে বাংলাদেশের জয়ের ম্যাচে ৩ ওভারে ২২ রানে ২ উইকেট নিয়ে ভারতকে অল্প রানে আটকে রাখতে দারুণ অবদান রেখেছিলেন আমিনুল। দ্বিতীয় ম্যাচেও তাকে দেখা গেল নিয়ন্ত্রিত। অন্য বোলারদের ব্যর্থতার দিনে নিজেকে আলাদা করেই চেনালেন।
এপর্যন্ত তিনটি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন আমিনুল। প্রতি ম্যাচেই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। ঝুলিতে উইকেট বাড়ছে। তাকে ঘিরে আশার বেলুনও বড় হচ্ছে বাংলাদেশের।