চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সিরাজগঞ্জে পৃথক ঘটনায় নিহত ৩

সিরাজগঞ্জে সোমবার ঈদেরদিনে পৃথক দুটি ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের কামারপাড়া নামকস্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ঢাকা থেকে বগুড়াগামী কে. কে পরিবহনের সাথে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে এলে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মোটর সাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে মিঠুন নামের এক মোটর সাইকেল আরোহী মারা যায়। খবর পেয়ে ষোল মাইল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো এক মোটরসাইকেল আরোহী মারা যায়। অপর ৫ জন বাসযাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ষোলমাইল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

অপর এক ঘটনায়  সিরাজগঞ্জ সদরের পৌরসভার ইলিয়ট ব্রীজের পূর্ব পাড়ে ইবি রোডে দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শাকিল হোসেন (১৭)নামে এক ফার্ণিচার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সে সদরে উপজেলার চর-বনবাড়িয়া গ্রামের রিক্সাচালক মনোয়ার হোসেনের ছেলে।

ঘটনার পরপরই তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১২ আগষ্ট) রাত ১০টার দিকে মারা যায়।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) নুরুল ইসলাম জানান, শাকিলসহ তার ৫ বন্ধু মিলে সোমবার সন্ধায় শহরের মমতাজ সিনেমা হলে ‘বেপরোয়া’ ছায়াছবি দেখতে যান।

ছবি দেখা শেষ হলে তারা বাড়ি যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে শাকিলের সাথে অন্য ক’জন যুবকের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি লাগে। এরই জের ধরে পার্শ্ববর্তী লক্ষী সিনেমা হলের সামনে শাকিল ও তার বন্ধুদের আচমকা মারপিট করে বখাটেরা। এ সময় শাকিলের বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে যুবকেরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন ও তার বন্ধুরা শাকিলকে আহত হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত রাত ১০টার দিকে মারা যায় শাকিল। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিশ।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাকিলের সাথে থাকা রিপন, ইয়ামিন, মোস্তফা ও মোতালেব নামে ৪ বন্ধুকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।