দেশেই করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে চীনের সিনোফার্মের সাথে চুক্তি করেছে সরকার। এই চুক্তির ফলে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড।
সিনোফার্মের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে এই চুক্তি হয়।
রাজধানীর মহাখালিতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান-বিসিপিএস’এ আনুষ্ঠানিক চুক্তি সাক্ষর হয়। এই চুক্তির পরই দেশে সিনোফার্মের করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত ‘বাল্ক’ এনে এদেশে তা রিফিল বা ফিল ফিনিস করবে দেশের ওষুধ উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড। তবে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন এদেশে কী পরিমাণ উৎপাদন হবে, তা নির্ভর করছে সিনোফার্ম কী পরিমাণ ‘বাল্ক’ সরবরাহ করবে তার ওপরে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মােমেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মােমেন, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাে. মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামি তিন মাসের মধ্যে দেশে সিনোফার্মের টিকা উৎপাদন সম্ভব।ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি.এর প্রতিমাসে এক ভায়েলে ১০ ডোজ হল চার কোটি তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। তবে সরকারের যতটুকু দরকার সেই চাহিদামত করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ইনসেপ্টা।
এর দাম এখনো নির্ধারন করা হয়নি বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লােকমান হােসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মােহাম্মদ খুরশীদ আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শােকের এ মাসে বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নতুন দিক উন্মোচিত হলাে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দ্রুতই ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি. সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করবে।
উল্লেখ্য, দেশে এ পর্যন্ত সিনোফার্মের টিকা এসেছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডোজ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে এক কোটি ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ ডোজ, ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ এবং মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ। এর মধ্যে সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৮ ডোজ।