যুগ যুগ ধরে নারীর গ্ল্যামার চলচ্চিত্রের বাণিজ্যিক পুঁজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ব্যতিক্রমও আছে। কিছু হলিউড সিনেমা এমন কিছু নারী চরিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে যারা শুধুমাত্র আলংকারিক না হয়ে নিজেদের চরিত্র কে উত্থাপন করেছে নতুন ভাবে। যারা ন্যায় ও অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে, মর্যাদা ও আত্ম-সম্মানের জন্য লড়াই করেছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জেনে নেয়া যাক এমনই কিছু চলচ্চিত্র সম্পর্কে।
দ্য ফার্স্ট ওয়াইভস ক্লাব (১৯৯৬): এক পুরানো বন্ধুর মৃত্যুর পরে কলেজের বন্ধুরা ৩০ বছর পর একসঙ্গে হয়। তার বুঝতে পারে তাদের প্রাক্তন স্বামীরা তাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। তারা প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে এবং সফল হয়।
ফ্রাইড গ্রিন টমেটোস (১৯৯২): নিজের মাঝে শক্তি খুঁজে পাওয়ার গল্প। ইভেলিন কোচ একটি নার্সিং হোমে বয়স্ক এক নারীর দেখাশোনা করেন। তার জীবনের গল্প শোনেন। স্রোতের বিপরীতে সাঁতরে ওঠার সেই গল্পগুলো ইভেলিনের মনোবল বাড়ায়।
ব্রেভ (২০১২): স্কটল্যান্ডের রাজা কিং ফারগাস আর রানী এলিনরের মেয়ে মেরিডা এই অ্যানিমেটেড সিনেমার মুল চরিত্র। অন্য রাজকন্যাদের মত শান্তশিষ্ট মেয়েলী স্বভাবের নয় সে, বরং দুর্দান্ত ডানপিটে। প্রিয় ঘোড়ার পিঠে চড়ে তীর ধনুক নিয়ে বনে জংগলে দাপিয়ে বেড়াতে তার ভাল লাগে। রাজ্যের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী রাজকন্যার বিয়ের জন্য প্রস্তাব আসে তিন প্রতিবেশী গোত্রের কাছ থেকে। কিন্তু স্বাধীনচেতা মেরিডা কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারে না। বিয়ে আটকাতে ঘটায় মজার মজার কাহিনী।
মিস কনজেনিয়ালিটি (২০০০): মিস ইউনাইটেড স্টেটস প্রতিযোগীদের এর ওপর বোমা হামলার হুমকি দেয় এক সন্ত্রাসী। এফবিআই এর এক নারী সদস্য প্রতিযোগীর ছদ্মবেশ ধারণ করে সেই সন্ত্রাসীর খোঁজ করতে থাকে।
কুইন অব কাটওয়ে (২০১৬): ‘কুইন অব কাটওয়ে’ সিনেমায় দেখা গিয়েছে দারিদ্রে জর্জরিত বস্তির মেয়ে ফিয়োনার ওয়ার্ল্ড চেজ অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাহিনী।
ওয়াইল্ড (২০১৪): মা হারানোর পর বিয়েও ভেঙে যায় চেরিল এর। নিজেকে ধ্বংস করে দেয়ার প্রবণতা থেকে বের হয়ে জীবনকে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় চেরিল। পাহাড়ের চূড়ায় উঠার জন্য বের হয়ে পড়ে বাড়ি থেকে।
দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা (২০০৬): অন্দ্রিয়া একজন মফস্বল শহরের মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছে। আর মিরান্ডা প্রিস্টলি নিউ ইয়র্কের একটি বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিনের সম্পাদক। অন্দ্রিয়ার স্বপ্ন সে একদিন সাংবাদিক হবে এবং মিরান্ডার সহকারী হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু তার কোনো ধারণাই ছিল না এই চাকরিটা পাওয়া কতটা কঠিন। মূলত একজন সাধারণ নারীর স্বপ্ন পূরণের পেছনে সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে।
ফ্রিদা(২০০২): এটি মেক্সিকোর জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোর বায়োপিক। ফ্রিদার পেশা জীবনের অর্জন, স্বামীর সঙ্গে বৈরী সম্পর্কসহ তার ব্যক্তিজীবনের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ইমেজ