চট্টগ্রাম থেকে: ২০১৫ সাল থেকে তামিম-সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গী সৌম্য, সাব্বিরের মতো তরুণরা। আবির্ভাবে দুর্দান্ত ছিলেন তারা। অবদান রাখতে পারায় জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে সময় লাগেনি। ওই সময়টাতে একটু নির্ভার থাকতে পেরেছেন ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।
কিন্তু পরের বছর থেকে অনুজ্জ্বল সৌম্য-সাব্বিররা। তাদের ঘাটতি মেটাতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছোটাতে হচ্ছে ঘাম। সাকিব-তামিমকে চাপমুক্ত রাখতে দুই-আড়াই বছর ধরে যারা খেলছেন, চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে তাদের কাছে ভাল কিছু আশা করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিক।
দ্বিতীয় টেস্টে তামিম-সাকিবরা যখন ব্যর্থ, জ্বলে উঠলেন সাব্বির। বিপর্যয়ের সময় ৬৬ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেছেন সাত নম্বরে নেমে। ওপেনিংয়ে নামা সৌম্য করে গেছেন ৩৩। উইকেটে ছিলেন ২৯ ওভার।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে অবদান রাখতে পেরেছেন সাব্বির-সৌম্য দুজনই। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাব্বির জানালেন, তরুণদের চেষ্টায় কমতি নেই। ‘ব্যাডপ্যাচ’ পার করে দায়িত্ব নেবেন তারাও। নির্ভার রাখবেন সাকিব-তামিম-মুশফিকদের।
‘আমাদের ১১ জনই রান করতে পারে। সবাই চেষ্টা করে রান করতে। কেউ আউট হয়ে গেলে মানে এই না যে, বাকিরা পারে না। কারও দিন ভালো যায়, কারও খারাপ যায়। সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, তামিম ভাইদের সময় ভালো যাচ্ছে বলে রান করতে পারছে। আমরা তরুণদের সময় খারাপ যাচ্ছে। কিছু না কিছু সমস্যা হচ্ছে। সেটি কাটিয়ে উঠতে পারলে সিনিয়রদের নির্ভার রাখতে পারব আমরা।’
ছবি: সাকিব উল ইসলাম