সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক শুরু করেছেন। আগামী ১২ জানুয়ারী পর্যন্ত যুক্তিতর্কের দিন ধার্য্য রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান: গতকাল রোববার এই মামলার যুক্তিতর্কের প্রথম দিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফরিদুল আলম, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা, এডভোকেট মোজাফফর আহমদ, এডভোকেট জিয়াউদ্দীন প্রমুখ আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।
পরে আসামি এপিবিএন এর বরখাস্ত হওয়া তিন সদস্যের পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং এই মামলায় আসামি হওয়া পুলিশের তিন সোর্সের পক্ষে এডভোকেট শামসুল আলম তাদের যুক্তিতর্ক শুরু করেন। আজ অপরাপর আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক তুলে ধরবেন।
আজ সকাল নয়টা এই মামলার আসামি ওসি প্রদীপসহ বাকি ১৫ জনকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, সর্বশেষ ৮ দফায় গত ৭ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছে, তাদের জেরা শেষ হয়েছে। মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছিল আদালত।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।
পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।