অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে কক্সবাজার আদালতে আনা হয়েছে।
প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আদালতে হাজির করার পর তদন্তকারী সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আবারও ওসি প্রদীপের রিমান্ড চাইবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য অন্যতম আসামী পুলিশের বরখাস্ত এসআই নন্দদুলালকে আদালতে হাজির করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় র্যাব নন্দদুলালকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর ১০টা ২০ মিনিটে নন্দদুলালকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে নেওয়া হয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারার খাস কামরায়।
শুক্রবার তৃতীয় দফায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, পরিদর্শক লিয়াকত আলি, এস আই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ডের শেষ দিন আজ।
এর আগে রোববার মেজর সিনহার হত্যা মামলার প্রধান আসামী লিয়াকত আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করলেও পরে ‘প্রকৃত দোষীদের’ আসামী করে আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ৭ পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফে পুলিশের করা মামলার ৩ সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর তিন সদস্য পৃথকভাবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামী করা হয়। পরে আসামী করা হয় আরো ছয়জনকে। দুইজন ছাড়া সব আসামী গ্রেপ্তার হয়েছেন।