অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ৭ পুলিশ সদস্য কারামুক্ত হয়ে যার যার বাড়িতে ফিরেছেন।
কক্সবাজার জেল সুপার নেছার আলম জানান, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ আর লিয়াকত কনডেমড সেলে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন।
রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয় সোমবার সন্ধ্যায়।
ওই মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
খালাস পাওয়া ৭ পুলিশ সদস্যের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমেদ বলেন, ৭ পুলিশ সদস্য সোমবারই তাদের পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
জেল সুপার নেছার আলম জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে মারিস দুনিয়া এলাকার স্থানীয় ৩ জনকে সাধারণ কয়েদিদের সাথে এবং ৩ পুলিশ সদস্যকে আলাদা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত স্বাভাবিক আচরণ করছেন। তবে তারা চুপচাপ রয়েছেন। তাদের প্রয়োজন মাফিক খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এবং তারা তা স্বাভাবিকভাবেই খাবার গ্রহণ করছেন।’’
২০২০ সালের ,৩১ শে জুলাই রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।