সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার করা মামলার নথি বুধবার সকালে দুদক কার্যালয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পরই শুরু হবে কাজ। তিনি বলেন কেউ আইনের উর্ধে নয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, এস কে সিনহার বিরুদ্ধে আনা ৪ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিজে শাহবাগ থানায় গিয়ে মামলাটি করলেও তা সোমবার প্রকাশ পায়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের শাহবাগ থানার জেনারেল রেকর্ডিং (জিআর) শাখায় পাঠানো হয়। পরে মামলাটি দুদকের তফসিল ভুক্ত হওয়ায় গতকাল সোমবার বিকেলে দুদক সাধারন নিবন্ধন শাখায় পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে এস কে সিনহা ঘুষ গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ঘুষ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মামলায় এস কে সিনহার গ্রামের বাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে ২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের বাড়ি ক্রয়, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
গতকাল সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের দলকে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের পরপরই দুই সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে।
এদিকে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে আরো একটি অনুসন্ধান করছে দুদক।