রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বুঝে নেয়ার পরপরই ভোটের প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। কেউ কেউ ঘোষণা করছেন নির্বাচনী ইশতেহারও।
রাজশাহী
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়া প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া শুরু হয়।
পর্যায়ক্রমে ৫ মেয়র প্রার্থী ও ১৬০ জন কাউন্সিলর এবং ৫২জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার নৌকা প্রতীক ও বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু ধানের শীষ প্রতীক বুঝে নেন।
পরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। এরপর মহানগরীর সাহেব বাজার এলাকায় নৌকা মার্কার প্রচারণা উদ্বোধন করেন।
বরিশাল
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৩০ ওয়ার্ডে ৯ জন এবং সংরক্ষিত ১০ ওয়ার্ডে ৩৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সকাল ১০টা থেকে তাদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ শুরু হয়।
বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় মেয়র প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বিতরণ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামি শাসনতান্ত্রিক আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা প্রতীক গ্রহণ করেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, বাসদ ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থীরা নিজেরাই প্রতীক গ্রহণ করেন।
প্রতীক গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে থেকেই মিছিল নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন বরিশালের প্রথম নারী মেয়র প্রার্থী বাসদের পক্ষ থেকে ডা. মনিষা চক্রবর্তী।
দুপুর একটার দিকে দলীয় অফিসের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার । অন্য প্রার্থীদের বিকাল ও সন্ধ্যা থেকে প্রচারণা শুরু করার কথা রয়েছে।
এছাড়াও প্রতীক বরাদ্ধের পর সিলেটে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।