জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দশমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সিটিসেল মিউজিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে দেশের একমাত্র এই সঙ্গীত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন সঙ্গীত অঙ্গণের জীবন্ত কিংবদন্তী ফেরদৌসী রহমান।
গুণী এ শিল্পীর হাতে ক্রেষ্টের পাশাপাশি সম্মাননা স্বরূপ এক লাখ টাকার চেক ও উত্তরীয় পড়িয়ে দেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যালেন আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ এবং প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (সিটিসেল) এর হেড অফ কমিউনিশন্স অ্যান্ড পিআর তসলিম আহমেদে।
বাংলা গানের ভুবনের সূর্য প্রতীম এ শিল্পীকে সম্মান জানানোর জন্য উপস্থিত থাকা দর্শক ১ মিনিট তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সম্মানের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌসী মজুমদারের ভাই সঙ্গীতজ্ঞ মুস্তফা জামান আব্বাসী এবং উপমহাদেশের কোকিল কণ্ঠ সাবিনা ইয়াসমিন।
সম্মাননা গ্রহণ করার পর ‘রূপ নগরের রাজকন্যা’ ফেরদৌসী রহমান অশ্রুসিক্ত চোখে রবীন্দ্রনাথের গানের ভাষায় বলেন,‘এতো সম্মান সত্যি নাহি আমার সাজে’। গানের ভুবনে যা দিয়েছি তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি সম্মান পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ছোটবেলায় বাবা(আব্বাস উদ্দিন) আমার মধ্যে সঙ্গীতের বীজ রোপন করেছিলো। আমি তার বীজ সঙ্গীতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছি। বাবা সবসময় বলতেন, ভারতে একজন লতা মঙ্গেশকার, পশ্চিবঙ্গে সন্ধ্যা মুখার্জি আর বাংলাদেশে একটাই ফেরদৌসী জন্ম নেবে।
তিনি বলেন, সিটিসেল চ্যানেল আই আমাকে যে সম্মানা দিয়েছে তার যোগ্য আমি নই বা গানের ভুবনে এমন কিছু করেছি যার জন্য এতো বড় সম্মান পেয়েছি। এজন্য সিটিসেল ও চ্যানেল আইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত গান শেখানো ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানে বহু খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী গান শিখেছেন এ গুণী শিল্পীর কাছে। সবাই তাকে চেনে ‘খালা মনি’ নামে। এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি উপমহাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তাই প্রিয় মানুষটির সম্মানে এক মঞ্চে থাকতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে করেছেন তিনি।
তাই গানের শিক্ষীকার সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে গাইলেন তার কোছ থেকে শেখা একটি গান। জমকালো এই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড প্রদানের পাশাপাশি ছিলো দেশ সেরা নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের মনমাতানো নানা পরিবেশনা।