গোল বাতিল, পেনাল্টি ও অতিরিক্ত সময়ের কামব্যাক— প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচে কমতি ছিল না কিছুতেই। সিটিজেনদের স্ট্রাইকার ঘাটতি পূরণে আনতে চাওয়া হ্যারি কেন-ই শেষে ডুবিয়েছে ম্যানসিটিকে। টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের পর হারের তেতো স্বাদ পেলেন পেপ গার্দিওলা।
উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে জোড়া গোল করে স্পারদের পূর্ণ পয়েন্ট তোলার পথ করে দিয়েছেন ম্যাচসেরা কেন। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল না হলে হ্যাটট্রিকও হয়ে যেত। সেটা না হলেও ইংলিশ স্ট্রাইকারের বন্দনায় মেতেছেন সাবেক-বর্তমান হয়ে প্রতিপক্ষের কোচও। লিভারপুলের সাবেক স্কটিশ অধিনায়ক গ্রায়েম সৌনেস তো মনে করেন, দলবদলের বাজারই চাঙ্গা করেছেন কেন!
ইংলিশম্যানের দক্ষতা, লক্ষ্য ও ক্ষিপ্রতার প্রশংসা করে সাবেক স্কটিশ মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, ম্যাচে দুর্দান্ত ছিলেন হ্যারি কেন। শুধু গোলে নয়, খেলা দিয়েও দলবদলের বাজারে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন তিনি।
ইংলিশ জাতীয় দলের অধিনায়কের সঙ্গে টটেনহ্যামের বর্তমান চুক্তি ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ক্লাব না চাইলে কেনের দলবদলের কোনো সুযোগ নেই। কয়েকবার নিজে অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন কেন, ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে পেতে মুখিয়ে ছিলেন খোদ ম্যানসিটি কোচও। কেনকে টানতে ১০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড পর্যন্ত খরচ করতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু স্পাররা ছাড়তে অনড়। চারবারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাই অন্য স্ট্রাইকারে ঘাটতি মেটাচ্ছেন গার্দিওলা।
দলে টানতে না পারলেও পছন্দের খেলোয়াড়ের খেলায় মুগ্ধ সিটি কোচ। ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের পর স্বভাবতই প্রশ্ন এসেছিল কেনকে দলে টানা নিয়ে। বিষয়টিকে অতীত জানিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘গোল ও বল দখলে কেনের যা গুণ তা আজকের ম্যাচ দেখে বিচার করতে হবে না। সবাই এটা জানে।’
প্রতিপক্ষের মতো টটেনহ্যাম কোচ অ্যান্টনিও কন্তেও মেতেছেন কেন-বন্দনায়। শেষ ৮ ম্যাচে ৬ বার জালের দেখা পাওয়া স্ট্রাইকারের বিষয়ে তার মত, কেন-ই বিশ্বসেরা স্ট্রাইকার।
‘আমরা বিশ্বসেরা এক স্ট্রাইকারের কথা বলছি। কেন দুর্দান্ত কাজ করেন এবং তার শারীরিক অবস্থাকেও আরও উন্নত করছেন। একটি মাধ্যমে তার সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। তখন বক্সের বাইরে খেলতে পছন্দ করতেন এবং সেটা দুর্দান্তভাবে করেনও।’
প্রিমিয়ার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শনিবার রাতে সিটির মাঠে নেমেছিল টটেনহ্যাম। উড়তে থাকা গার্দিওলার দলকে ৩-২ গোলে হারের স্বাদ দেয় অতিথি দলটি। গত অক্টোবরে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে সবশেষ হেরেছিল সিটিজেনরা। টটেনহ্যামের জয়ে জোড়া গোল করেন হ্যারি কেন, একটি দেয়ান কুলুসেভস্কির। সিটির গোল দুটি ইলকাই গুন্ডোয়ান ও রিয়াদ মাহরেজের।