‘চিন্তা করো না, দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবা’ -হাসপাতাল থেকে রওনা হওয়ার আগে খালেদ মাহমুদকে বলা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের এই কথার জবাবে চোখ খুলে সুজন কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে শুধু বললেন, ‘দোয়া করবেন।’
গুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাকে গ্লেনিয়াগ্লেস হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
সোমবার রাত ১১.৫০ মিনিটে সুজনকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানো হয়। তার কিছুপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় অ্যাম্বুলেন্সটি। বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
সুজনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে গেছেন বিসিবির চিকিৎসক মনিরুল আমিন ও ক্রিকেট তারকার বড় ভাই। বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ছাড়ার সময় সুজনের পাশে নিকটাত্মীয় ছাড়াও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বোর্ড পরিচালকদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
রোববার থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা এই সাবেক ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শঙ্কামুক্ত নন। সোমবার দুপুরে হাসপাতালে সুজনকে দেখার পর নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন রাতে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হবে।
বোর্ড সভাপতি তখন বলেন, ‘গতকাল রাতে যখন ওর অবস্থা জেনেছি তখন কোনও সাড়াই দিচ্ছিল না। তবে সকালে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয় সে। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি তিন-চারদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আগের সুজন ফিরে আসবে।’
তার আগে বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ‘সোমবার সকালে সুজনের লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে তাকে আইসিইউতেই রাখা হয়। এমআরআই রিপোর্ট পাওয়ার পরই অবস্থাটা পুরোপুরি বোঝা যাবে।’ সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই খালেদ মাহমুদকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার শুরু শনিবার মধ্যরাতে। নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই সুজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার সকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪৬ বছর বয়সী সুজন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।