বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে সিনেমার পর্দায় আসতে চলেছে ‘মাসুদ রানা’। আর এই চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন রাসেল রানা। যিনি ‘মেনস ফেয়ার এন্ড লাভলি চ্যানেল আই হিরো-কে হবে মাসুদ রানা?’ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন।
চরিত্রটি ঠিকভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছেন তিনি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি মাসেই ‘মাসুদ রানা’র শুটিং শুরু হচ্ছে।
চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে রাসেল রানা জানান, একবছর ধরে তিনি একটু একটু করে নিজের উন্নতির জন্য খেটেছেন। কলকাতা থেকে অভিনয়ের কোর্স করেছেন। বেণী বোস নামে থিয়েটারের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে অভিনয়ের বেসিক জিনিসগুলো শিখেছেন। বাসায় নিয়মিত অনুশীলন করছেন বলেও জানান তিনি।
অভিনয়ের জন্য রিলাক্স, এক্সপ্রেশনের খেলা, কেউ কান্না করলে পাশ থেকে নিজের উপর কতোটা প্রভাব ফেলতে পারে এমন আরও অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানিয়েছেন মাসুদ রানা।
বইয়ের পাতায় লেখা মাসুদ রানার পেটানো শরীর। যার মানে মেদহীন। তাই পর্দায় সেইভাবে হাজির হতে হবে তাকেও। এজন্য সিক্স প্যাক করতে হয়েছে মাসুদ রানাকে।
তিনি বলেন, চারমাসে শারীরিক ট্রান্সফরমেশন করেছি। আগে ওজন ছিল ৭২ কেজি কিন্তু ট্রান্সফরমেশনের পর ওজন হয়েছে ৭৭ কেজি। শরীরে সিক্স প্যাক চলে এসেছে। আমার টার্গেট ছিল এটা। এখন ফাইটিং ক্লাস চলছে। এছাড়া নির্মাতা সৈকত নাসির ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে অভিনয়ের উপর স্কুলিং করেছি। চলতি মাসেই শুটিং শুরুর কথা আছে।
রাসেল রানা বলেন, ভোর ছটায় উঠে নাস্তা করেই দেড় ঘন্টার কার্ডিও করা লাগতো। সন্ধ্যায় আবার তিন ঘণ্টা করে জিমে সময় দেয়া লাগত। এসব ভারি কাজ করতাম। পুরো সময়টা খাবারেও পরিবর্তন আনতে হয়েছে। কার্বো হাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করিনি। বেশি করে প্রোটিন যেমন টুনা ফিশ, চিকেন,সবজি খেতাম। ভাত খাইনি। এছাড়া একজন ট্রেনার আছেন, সবসময় তার পরামর্শ মেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলেছি। সবমিলিয়ে আমি এখন প্রস্তুত ও আত্মবিশ্বাসে আছি।
পরিচালক সৈকত নাসির বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন লোকেশনে ‘মাসুদ রানা’র শুটিং শুরু করতে যাচ্ছি। দর্শকদের সামনে বইয়ের পাতার ‘মাসুদ রানা’কে পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করবো। বইয়ে অ্যাডভেঞ্চার পড়ে শিহরিত হওয়া ও রোমাঞ্চ অনুভব করা কিশোর, তরুণ থেকে সব বয়সীদের জন্য তৈরি হচ্ছে মাসুদ রানা সিনেমা।