মুক্তির আগে থেকেই সোশাল মিডিয়ায় বেশ সরব পুরান ঢাকার ‘আব্বাস’। ঢাকাই চলচ্চিত্রে পুরান ঢাকার একটি ব্যতিক্রমী চরিত্রকে কেন্দ্র নির্মিত চলচ্চিত্রটির টিজার-ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় এটি। চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ ও ‘আব্বাস’-এর জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছেন।
শুক্রবার দেশের ৩৭টি প্রেক্ষাগৃজে মুক্তি পায় ‘আব্বাস’। মুক্তির পর থেকেই বিভিন্ন হলে ঢুঁ মারছেন ছবির পুরো টিম। মুক্তির দ্বিতীয় দিনে চিত্রনায়ক নিরবসহ ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা রাজধানীর বাইরের প্রেক্ষাগৃহ পরিদর্শনে গিয়েছেন। শনিবার বিকালে যখন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয়, তখন টঙ্গীর ‘চম্পাকলি’ সিনেমা হলে ছিলেন নিরব। সেখান থেকেই জানান, ‘আব্বাস’ মুক্তির পর ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন সবার কাছ থেকে।
নিরব বলেন, মুক্তির শুরুর দিনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শেষ ম্যাচ ছিলো, তারপরও ‘আব্বাস’-দেখতে যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি সেটা অভাবনীয়। হল মালিকরাও এমন দিনে দর্শক স্রোত দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় রাজধানীর অন্যতম সিনেমা হল মধুমিতার মালিক ইফতেখার নওশাদের সাথে। তিনি জানান, শুক্রবার বাংলাদেশের খেলা ছিলো, তারপরেও যে পরিমাণ সেল হয়েছে তা বেশ ভালো। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সপ্তাহান্তে ভালোই হল রিপোর্ট আসার কথা।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যে বেড়ে ওঠা স্থানীয় এক যুবকের সংগ্রামকে উপজীব্য করে গড়ে উঠেছে ‘আব্বাস’-এর কাহিনী। ছবিটি দেখতে পুরান ঢাকার স্থানীয় লোকজনকে কতোটা প্রভাবিত করলো ‘আব্বাস’?
এমন প্রশ্নে চিত্রনায়ক নিরব বলেন, হ্যাঁ, পুরান ঢাকার স্থানীয় মানুষেরা ‘আব্বাস’ নিয়ে বেশ উত্তেজীত। এমনকি মুক্তির দিনে সেখানকার জিঞ্জিরা সিনেমা হলে দুটি শো পুরোপুরি হাউজফুল ছিলো, তারাও ছবিটি বেশ পছন্দ করেছেন। দারুণ ফিডব্যাক পাচ্ছি সবার কাছ থেকে। বাংলাদেশের খেলা চলাকালীন সময়েও সিনেমা হাউজফুল আমাদের পুরো ‘আব্বাস’-টিমের জন্য বিরাট প্রাপ্তির।
নিরব জানান, আগামি কয়েক দিনের মধ্যে রাজধানীর বাইরে যেসব জেলা শহরগুলোতে ‘আব্বাস’ মুক্তি পেয়েছে সেগুলো প্রদর্শনে যাবেন।
গেল ১৬ জুন আনকাট সেন্সর পায় ‘আব্বাস’। ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে নিরব ছাড়াও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা, অ্যালেকজান্ডার বো, ডন, সমাপ্তি মাসুক, সূচনা আজাদ, তাসনিয়া, নুসরাত পাপিয়া, শিমুল খান প্রমুখ। ‘আব্বাস’ প্রযোজনা করেছে ঢাকা ফিল্মস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট, পরিচালনা করেছেন নির্মাতা সাইফ চন্দন।