অজ্ঞান অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতে যখন সিঙ্গাপুর নেওয়ার হচ্ছিল, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায় সাড়া দিয়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরের গ্লেনিয়াগ্লেস হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে। সেখানেও সাড়া দিচ্ছেন সুজন। বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কথার এক ফাঁকে কেঁদে ফেলেন তিনি।
খালেদ মাহমুদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে আছেন বিসিবির চিকিৎসক মনিরুল আমিন। তার বরাতে বিসিবি জানিয়েছে, সুজনের অবস্থা স্থিতিশীল। বুধবার সকালে আরও একবার তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বাংলাদেশ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন মনিরুল আমিনের সঙ্গে। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানালেন, ‘আমরা আশা করছি, দুই-তিনদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবে সুজন। মুখে লাগানো দুটি পাইপের মধ্যে একটি খুলে ফেলা হয়েছে। উন্নতি হচ্ছে তার। হাসপাতালে সুজন তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথাও বলেছে।’
এর আগে সোমবার রাত ১১.৫০ মিনিটে সুজনকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নেয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দিয়ে মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরে পৌঁছায় তাকে বহনকারী বিমানটি।
সুজন অসুস্থবোধ করেন শনিবার মধ্যরাতে। নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার সকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪৬ বছর বয়সী সুজন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।