চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সালাহ উদ্দিনসহ ১৬ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ভারতে আটক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ ১৬ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তৌফিক আজিজ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

পাশাপাশি মামলায় অভিযুক্ত ২২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনও করা হয়েছে। ২০১১ সালের ৪ জুন চকরিয়া থানার এসআই মো. ইয়াছিন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় নাশকতার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহজাহান নুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মনজুর আলম, মো. সেলিম উল্লাহ প্রকাশ রাইফেল সেলিম, সাইফুল ইসলাম, মৌলভী রফিক, আজিজুল হক, হেফাজতুর রহমান টিপু, এহছানুল কাদের সাগর, ইমরুল হাসান প্রকাশ হান্নান, জাহাঙ্গীর, জিয়াবুল কবির, জসীম উদ্দিন প্রকাশ কানা জসিম, সাইফুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল কানন, জয়নাল ও আলী হোসেন প্রকাশ আজাদ।

এ ১৬ জনসহ রুবেল বড়ুয়া, নুরুল আমিন, আবদুর রহিম, জালাল উদ্দিন ও মো. বাবুল ছাড়াও আরো একজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে বলে জানান শাহজাহান নূরী।

অভিযোগ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২০১১ সালের ৩ জুন বিকেল সাড়ে ৪ টায় ইউপি নির্বাচনে ফাসিয়াখালি ইউপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর উপর একই ইউপির বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল হক রাজারবিল নয়াপাড়া ব্রীজের উপর হামলা করেলে আইন শৃঙ্খলা নিয়োজিত তিনজন পুলিশ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে টিপু, জিয়া ও জয়নাল নামের তিনজনকে আটক করা হলে বিএনপির লোকজন ফাঁসিয়াখালির ভেন্ডিবাজারের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক গাড়ি ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে আসা কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাংচুর চালানো সহ সঙ্গে থাকা পুলিশকে মারধর করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তারা। হামলায় দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইমরুল, রুবেল ও রফিক নামের তিনজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরকসহ নাশকতায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম ও দ্রুতগতির গাড়ি জব্দ করা হয়। এঘটনায় ৪/২০১১ মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়।

কক্সবাজার চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল বলেন, ২০১২ সালে ৪ ডিসেম্বর ওই মামলায় সালাহ উদ্দিন আহমদসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেসময় ২১ জন জামিনে ছিলেন । কিন্তু পরবর্তীতে আদালতে হাজিরা না দেয়া ও আসামীপক্ষের বারবার সময়ের আবেদনের কারণে বিচার বিলম্বিত হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক তৌফিক আজিজ অভিযুক্ত ২২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন এবং ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলায় অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না বলেন, সালাহ উদ্দিন ভারতে কারান্তরিণ রয়েছে। একারণে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সময়ের আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত সময়ের আবেদন গ্রহণ করেনি। সালাউদ্দিনসহ ওই মামলার ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন এবং ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।