পাকিস্তানের কলঙ্কিত সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট দাবি করেছেন, ২০১৬তে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় তার জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা আটকে দিয়েছিলেন আরেক সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে দলে ফেরার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন বলে দাবি তার।
বাট বলছেন, ভারতে হওয়া ওই বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে প্রায় নির্বাচিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমুহূর্তে আফ্রিদিই তার দলে ফেরা আটকে দেন। ২০১৫তে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন বাট।
পাকিস্তানি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শো’তে বাট বলেন, ‘তৎকালীন হেড কোচ ওয়াকার ইউনুস ও ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার আমাকে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে ডেকে নেটে আমার ফিটনেসও পরীক্ষা করেছিলেন। ওয়াকার ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পাকিস্তানের হয়ে আবার খেলতে তুমি মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা? আমি বলেছিলাম খুবই প্রস্তুত।’
৩৪ বছরের বাট দাবি করেছেন, দলের ফেরার জন্য সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু তখনকার অধিনায়ক আফ্রিদি সব আটকে দেন।
‘আমি জানি না তাকে কী করে অনুপ্রাণিত করা যেত। কিন্তু আমি তার কাছে যাইনি বা কথা বলিনি। আমি মনে করি এটা সঠিক ছিল না। যা জানি তা হল, ওয়াকার এবং ফ্লাওয়ার আমাকে বলেছিল যে আমি বিশ্বকাপ খেলছি। কিন্তু আফ্রিদিই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।’ বাটের সোজাসাপ্টা কথা।
বিশ্বকাপে খুবই বাজে পারফর্ম করে পাকিস্তান। এরপরই নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেন ওয়াকার ও আফ্রিদি।
বাট বলছেন, কোনো একজন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে আরেকজন খেলোয়াড়ের দলে প্রত্যাবর্তন আটকাতে পারেন না।
২০১৭তেও আরেকবার দলে ফেরার সুযোগ এসেছিল বাটের সামনে। কিন্তু সেসময় পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ে খবর বের হওয়ায় সে যাত্রায়ও আটকে যায় তার দলে ফেরা। এমনটাই দাবি বাটের।
২০১০’র আগস্টে ইংল্যান্ড সফরের সময় স্পট ফিক্সিংয়ে ধরা পড়েন তৎকালীন অধিনায়ক সালমান বাট ও দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ আর মোহাম্মদ আমির। সবধরনের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন তারা। পরে শাস্তি ভোগ করে আমির দলে নিয়মিত হলেও ভাগ্য খোলেনি বাট-আসিফের।