খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন: খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি তারা অবশ্যই পাবেন। তবে সেটা আদালত ভালো জানেন কবে পাবেন, সরকারের এক্ষেত্রে কিছুই করার নাই।
তিনি বলেন: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উশৃঙ্খলতার মাধ্যমে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এ ধরনের ধরণের উচ্ছৃঙ্খল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ্য করবে না।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সেমিনার হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এসময় নিজের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন: বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নমুনা আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেখিয়েছেন। তারা যে উচ্ছৃঙ্খল, সন্ত্রাসী, সে চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ তা তারা ঘটিয়েছে। তবে একটা জিনিস কোন ধরণের উচ্ছৃঙ্খল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ্য করবে না।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন: আপনাদের অন্তিম ঘণ্টা বাজাতে না চাইলে নির্বাচনে আসুন। বিএনপি খালেদাকে নিয়ে নির্বাচনে আসবে নাকি ছাড়া আসবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন: খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বিএনপি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তারা নির্বাচনের আগে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এই মামলা এভাবে এ পর্যন্ত চালিয়ে এনেছে। তারা খালেদা জিয়ার ডিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছে।
‘তারা দুইদিন পর সময় নষ্ট করে আবেদন করেছে। সার্টিফায়েড কপি তারা অবশ্যই পাবেন। তবে সেটা আদালত ভালো জানেন কবে পাবেন। সরকারের এক্ষেত্রে কিছুই করার নাই। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি পারবেন না এটা নির্বাচন কমিশন জানেন। আর নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। এর কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। সুযোগও নেই’, বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় উপস্থিত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন: আজ বাংলাদেশে যারা অপশক্তির দ্বারা জ্বালাও পোড়াও করে ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের অপচেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।