নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে গঠিত সার্চ কমিটিকে অসাংবিধানিক ও সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, “ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ১১ জানুয়ারি একটি রিট আবেদন করেছিলাম। সেটার শুনানি এখনো হয়নি। এবার সার্চ কমিটির বৈধতা বিষয়ে রিট আবেদন করেছি।”
রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চের কার্যতালিকায় এই দুটি বিষয়ই শুনানির জন্য তালিকায় রয়েছে।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে একটি আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা থাকলেও এখন পর্যন্ত সেই আইন প্রণয়ন করা হয়নি।
৪. নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আইনে সার্চ কমিটির কথা নেই। তাই সার্চ কমিটি গঠন করে যে গেজেট জারি করা হয়েছে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে প্রায় এক মাসে বঙ্গভবনে ৩১টি দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করেন। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাব তুলে ধরে।
বিএনপির সাথে বৈঠকের মধ্য দিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। বিষয়টি নিয়ে ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের পরে গঠিত হয় ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি।
আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে এই সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি শিরীণ আখতার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।