আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারের দাম চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মতই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ একই দামে রাসায়নিক সার পাবেন কৃষক। একই সঙ্গে কৃষকদের প্রতি সরকারের কৃষি প্রণোদনাও অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সারের দাম অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার এ বাজেটে কৃষিখাত মোটামুটিভাবে গত অর্থবছরের মতোই রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বক্তৃতায় বলেন, কৃষিতে রাসায়নিক মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণোদনা দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে এবং এর ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় তা কৃষিপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রেখেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাতে ৫ হাজার ২০১ কোটি টাকা সরকারের ব্যয় হয়। কৃষক পর্যায়ে সারের মূল্য অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করায় এবারও এই খাতে ব্যয় অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘‘প্রধান প্রধান রাসায়নিক সারের আমদানি মূল্য কোনো কোনো সময় বাড়লেও কৃষকদের স্বার্থে সরকার দেশীয় বাজারে সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত রেখেছে যা পরোক্ষভাবে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেছে। আগের মতো আমদানি খরচ যাই হোক না কেন, আগামী অর্থবছরের রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে এবং কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।’’
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।