সারা ভারতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরির কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে সংসদকে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
মঙ্গলবার এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সারাদেশে নাগরিকদের তালিকা প্রস্তুতের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই বক্তব্যে জনগণের কাছে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হবে। পাশাপাশি গত দুই মাস ধরে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন নিয়ে দেশজুড়ে যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে তা কিছুটা হলেও শান্ত হবে।
তবে এর আগে শুক্রবার সংসদের যুগ্ম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তার প্রারম্ভিক ভাষণে এনআরসি প্রসঙ্গটি সতর্কভাবে এড়িয়ে গেছেন।
বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি তিনটি দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দিতে গত ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন (সংশোধনী) বিল পাস করে দেশটি সংসদ। এরপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
সরকারি কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সূত্রের উল্লেখ করে এনডিটিভি জানায়, সরকার এই আইন কার্যকর করতে বিধিমালা প্রকাশের আগে অন্য দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদেরকে আইনটির পক্ষে আনার চেষ্টা করছে।
সরকারের বক্তব্য, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান – এ তিনটি প্রতিবেশী মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষ যদি ধর্মীয় নির্যাতন থেকে বাঁচতে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেয় তবে তাদেরকে নাগরিকত্ব পেতে সহায়তা করবে সিএএ।
তবে সমালোচকদের দাবি, আইনটি এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে তা মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক এবং একই সঙ্গে এটি ভারতের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ নীতি লঙ্ঘন করে।