বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে। সারা দেশে আনন্দ উৎসবের সঙ্গে দিনটি পালন করেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা
তাদের আশা, গৌতম বুদ্ধের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ হিংসার পথ ছেড়ে শান্তির পথে জীবন চালাবে।
গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বৌদ্ধবিহারগুলোতে ছিলো নানা আয়োজন।
ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা ও শিল গ্রহণ, ভিক্ষু সংঘের প্রাত:রাশ, আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। তাদের বিশ্বাস, গৌতম বুদ্ধের শিক্ষাই বিশ্বে শান্তি আনতে পারে।
সভায় আলোচকরা বলেন, বুদ্ধ যে আদর্শে বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তন করেছেন তা হলো জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
তারা আরো বলেন, সকলকে আপন করে নিতে হবে, সকলকে ভালোবাসতে হবে। মানবতার বাণী দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সবুজবাগে সদ্ধর্ম সভায় যোগ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, গৌতম বুদ্ধের কাছ থেকে মানুষ অহিংস নীতির শিক্ষা পায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যদি আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে হয় তা হলে বুদ্ধের বাণী অনুযায়ী যারা রাজনীতিতে কথা ও কাজের মধ্যে মিল রাখেন না তাদের পরিহার করা,পরিত্যাগ করাই হচ্ছে উত্তম পথ।
আজ থেকে ২ হাজার ৫৫৮ বছর আগের এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিলো বলে এ দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা বলা হয়।