সব পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রয়োগে যৌথ অভিযান একমাস পিছিয়েছে সরকার। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যবসায়ীদের অনুরোধে বাড়ানো এ সময় শেষ হবে নভেম্বরে। এরপর সারা দেশে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে অভিযান শুরু হবে।
সোনালি আঁশের সোনালি দিন এখন নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে মিল-কারখানায় চাল-ডাল বহনে পাটের ব্যাগের জায়গা করে নিয়েছে পলিথিন অথবা প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগ।
সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রতিনিধিদেরও আশা, সোনালি আঁশের সোনালি দিনে ফিরবে বাংলাদেশ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, সব পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে যে আইন হয়েছে সে আইনটি মেনে চলার জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে। আর সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করতে হবে।
পাটের সোনালি দিনে ফেরাতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর অভিযান শুরুর কথা থাকলেও বাস্তবতার কারণেই তা পেছানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাস পর্যন্ত যতো জুট ব্যাগ লাগবে সমস্ত জুট ব্যাগ বানিয়ে আমরা বসে আছি। অভিযানের নামার কথা থাকলেও এফবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান এবং রাইস মিল মালিক সমিতিদের অনুরোধে এ অভিযান পেছানো হয়েছে।
আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে। নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এ উদ্যোগ সফল করার জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাবে। পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো, বন্ধ হয়ে যাওয়া মিল চালু করাসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সাফল্যের আশা করে সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নাগরিক সমাজের।