সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৪২ জন। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের নিমতলীতে ৪ জন, বগুড়ার শেরপুরে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন এবং কুড়িগ্রামে ১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলায় দুই বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে চার জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও ৩ জন পুরুষ। হতাহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহতদের ঢাকাসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, সোমবার দুপুরে মাওয়াগামী গাংচিল পরিবহনের বাসের সাথে বিপরীতমুখী ঢাকাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের সংঘর্ষের পর পুলিশ ও সাধারণ জনতা হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস দু’টির চালক পলাতক রয়েছে। নিহতদের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে মাগুরায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালীতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় সোমবার সকালে কুদ্দুস (৬০) ও ইব্রাহিম (৩৫) নামে দুই সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়।
মাগুরা থানার এসআই রিয়াদুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টার দিকে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহমুখী একটি পিকআপ ভ্যান ঘটনাস্থলে ওই দুই সাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসারত অবস্থায় তারা মারা যান।
নিহত কুদ্দুসের বাড়ি পারনান্দুয়ালী গ্রামে। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে চায়ের দোকানদার ও ইব্রাহিম পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ম্যাসেঞ্জার। পিকআপ ভ্যানসহ চালক পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ট্রাক চাপায় মোটর শ্রমিক নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নিহত হয়েছেন।
ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ জানায়, সকালে ভূরুঙ্গামারী থেকে রংপুরগামী একটি ট্রাক জয়মনিরহাট বাজারের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী জয়মনির হাট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও মোটর শ্রমিক নেতা সুরুজ্জামান সুজাকে (৪২) চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘাতক ট্রাক চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।