চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়াসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কুড়িগ্রামে পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। তবে রাজবাড়ি এবং মুন্সিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এবারের বন্যায় সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলার প্রায় ৩৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। কিছু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি নদী তীরবর্তী সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী এবং শাহজাদপুরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের।

পানি কমার সাথে সাথে এসব এলাকায় শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। যমুনা নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার পানি কমলেও শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। গত ৫ দিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, নয়ারহাট বাজারের আড়াই শ’র বেশি দোকান, নয়ারচর ফাজিল মাদ্রাসা, ৫টি মসজিদ, ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৩ শ’র বেশি ঘর-বাড়ি।

গাইবান্ধায় বালুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে শিবপুর, কোচাশহর ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। দরবস্ত ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকায় সড়ক ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে নুতন এলাকা। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সাব রেজিস্ট্রার অফিস চত্বর, মহিলা কলেজ এবং উপজেলা পরিষদ ভবন ও আবাসিক এলাকা এখনো ডুবে আছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। তবে এখনও অনেক এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে আছে। ৮/১০ দিন ধরে পানি থাকায় উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় নদী তীরের নিচু এলাকার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে আটকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীনগরের ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। পদ্মা তীরের কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও উজানচর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। গত ১ সপ্তাহ ধরে পানিতে দুর্ভোগ পোহালেও সরকারি বেসরকারি সহায়তা মেলেনি বলে অভিযোগ বন্যাকবলিতদের।

বন্যায় রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের কাঠুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়ার চাঁদ খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবগ্রামের তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরবেতকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।