সাম্প্রদায়িক হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। রাষ্ট্র ও জনসমাজকে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করলাম, দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুসম্প্রদায় তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারল না। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর, কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরে হামলা করে এমন এক ভীতিকর ন্যাক্কারজনক পরিবেশ তৈবি করা হলো, যা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে কারোর জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না ।আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত ও এর পেছনের হোতাদের চিহ্নিত, গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। একই সাথে নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্মকে অপব্যবহারের যে কোন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিদ্বেষী সকল অপশক্তিকে প্রশ্রয় না দেয়া, জঙ্গি ধর্মভিত্তিক শক্তির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে নীতিনিষ্ঠভাবে সংগ্রাম পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়ছে। রাষ্ট্র ও জনসমাজকে সম্মিলিতভাবে আজ একাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
সবশেষে তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৫০ বছরের বাংলাদেশকে আমরা পেছনের দিকে নিয়ে যেতে দিতে পারি না । তাই এধরনের অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং দেশের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির পক্ষের সকল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তি, ব্যক্তি ও প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষদের সমন্বিত উদ্যোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীর হলেন:
১। সুলতানা কামাল (মানবাধিকার নেত্রী)
২। ব্যারিষ্টার শফিক আহমদ ( প্রাক্তন আইন মন্ত্রী)
৩। ডাঃ সারোয়ার আলি (মুক্তিযুদ্ধ মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি)
৪। খুশী কবীর (সভানেত্রী, নিজেরা করি)
৫। রামেন্দু মজুমদার (নাট্যব্যক্তিত্ব)
৬। আবুল মোমেন (শিক্ষাবিদ)
৬। অধ্যাপিকা মাহ্ফুজা খানম (শিক্ষাবিদ)
৭। ড: সেলিম জাহান ( আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ)
৮। রাশেদা কে চৌধুরী ( প্রাক্তন শিক্ষা উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার)
৯। ডাঃ রশিদ ই মাহবুব ( প্রাক্তন বিএমএ সভাপতি)
১০। ডঃ মইনুল ইসলাম
১০। আনোয়ার হোসেন ( প্রাক্তন ইউজিসি অধাপক)
১১। ডঃ আবুল বারকাত (সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি)
১২। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য (সম্মানিত ফেলো, সিপিডি)
১৩। মেঘনা গুহঠাকুর্তা (নির্বাহী পরিচালক রীব)
১৪। ডঃ তাজুল ইসলাম (প্রাক্তন প্রো উপাচার্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)
১৫। অধ্যাপক এ এন রাশেদা
১৬। অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান (সম্মানিত ফেলো, সিপিডি)
১৭। অধ্যাপক ডঃ সুশান্ত কুমার দাশ
১৮। অধ্যাপক বদিউর রহমান
১৯। অধ্যাপক কাবেরী গায়েন।
২০। ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম (প্রাক্তন সভাপতি, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ)
২১। শামসুল হুদা (নির্বাহী পরিচালক, এলআরডি)
২২। সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী
২৩। মাহমুদ সেলিম ( সাং স্কৃতিক ব্যক্তিত্ব-উদিচী)
২৪। ডাঃ লেনিন চৌধুরী (চিকিৎসক ও খেলাঘরের বিশিষ্ট নেতা)
২৫। এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী (গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি)
২৬। অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়