চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সামাজিক মাধ্যমগুলো খুব বিপজ্জনকভাবে কণ্ঠ স্তব্ধ করছে: ট্রাম্প

ঘৃণা ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বার্তা প্রচারের প্ল্যাটফর্মের অপবাদ থেকে মুক্ত থাকতে সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নেয় সামাজিক মাধ্যমগুলো।  তবে টুইটার, ফেসবুকের এসব পদক্ষেপকে ‘খুব বিপজ্জনক’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, এসব পদক্ষেপের কারণে ভালো-খারাপ মিলিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব প্রচুর সংখ্যক কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে।  বিশেষ করে রিপাবলিকান, রক্ষণশীলদের পক্ষে সরব কণ্ঠগুলোর প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মিথ্যা ও ঘৃণাবাচক তথ্য প্রচারকারী ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক অ্যালেক্স জোনসের ‘ইনফোওয়ার্স’ থেকে করা বেশ কিছু পোস্ট সরিয়ে দেয় ফেসবুক ও ইউটিউব। ১৫ আগস্ট থেকে জোনসের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয় মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। মার্কিন নির্বাচনের আগে ইনফোওয়ার্সের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ট্রাম্প।

বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইনফোওয়ার্স হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট যারা বিভিন্ন রকম মিথ্যা খবর প্রকাশের জন্য পরিচিত। তারা সরাসরি টকশো প্রচার করে অনলাইনে এবং নয় লাখের বেশি অনুসারী বা ফলোয়ার রয়েছে ফেসবুকে। এর একজন উপস্থাপক এবং ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক হিসেবে পরিচিত অ্যালেক্স জোন্স-এর ইউটিউব গ্রাহক সংখ্যা ২ দশমিক ৪ মিলিয়নের বেশি।

তার এই প্ল্যাটফর্ম থেকে স্পষ্টই মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। যেমন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করা হয় যে, ২০১২ সালে স্যান্ডি হুক স্কুলে গুলির ঘটনা ছিল মার্কিন সরকারের দ্বারা প্রচারিত মিথ্যা খবর।

এখন সেই ইনফোওয়ার্স ও অ্যালেক্স জোনসের বিরুদ্ধে টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউবের পদক্ষেপ গ্রহণের পর সামাজিক মাধ্যমগুলোকে নিয়ে রয়টার্সের কাছে এই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প বলেন: আমি নাম উল্লেখ করছি না। কিন্তু যখন টুইটার, ফেসবুক নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখন সেটা ‘খুব বিপজ্জনক’ বিষয় হয়ে যায়। কারণ আগামীতে হয়তো আপনার সঙ্গেও এমন হতে পারে।

তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিষয়ে টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউবের কাছ থেকে কোন বিবৃতি এখনো পাওয়া যায়নি।