চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সামাজিক দূরত্ব মানতে তরুণ ও বয়স্কদের অনীহা

করোনা মহামারি ছড়িয়ে পরার দীর্ঘ আট মাস পর সামাজিক দূরত্ব মানতে অনেকটা অনীহা দেখা যাচ্ছে তরুণ এবং বয়স্কদের মধ্যে বেশিরভাগ তরুণ এবং বয়স্কদের করোনাভাইরাস ঝুঁকির উদাসীনতাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপান থেকে স্পেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এখনও কমছে না করোনার ভয়াবহতা। চীনে প্রথমে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটি বক্ররেখা সমতল বাড়তে শুরু করে। তখনও দেখা যায় তরুণ এবং বয়স্কদের মধ্যে সামাজিক দূরুত্ব মেনে চলার অনিচ্ছা।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের প্রফেসর পিটার কলিগন বলেছিলেন, বিশ্বজুড়ে লকডাউনে যারা সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্তের হার বেশি।

তবে প্যানডামিকের মধ্যে যারা নিজেদের বিভিন্ন অভ্যাস পাল্টাতে পেরেছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগরই বয়স ২০ থেকে ৩০ মধ্যে। কিন্তু বাকি তরুণ এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে কিছুটা উদাসীন ছিলেন।

দেখা গেছে কোভিড-১৯ তরুণদের আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কিছুটা কম থাকায় তারা নিয়ম ভঙ্গ করতে বেশি উৎসাহী ছিলেন।  তরুণ এবং প্রাপ্তবয়স্করা কাজের জন্য যাতায়াত থেকে শুরু করে যত্ন নেওয়া, বার এবং নাইটক্লাবে ঘুরতে দেখা যায় বেশি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগের পরিচালক অ্যান্টনি ফৌসে বলেন,তরুণদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে যেনো তারা দ্বিতীয় ধাপে করোনা ছড়িয়ে পরার ইতিহাস না গড়ে ফেলে।

যতদিন ভ্যাকসিন পুরোপুরি হাতের নাগালে না আসে এই সময়টায় তরুণদের আগ্রাসী মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। ঘরে থেকে ভালো সময় কাটানোর বিকল্প মাধ্যম খুঁজে নিতে হবে।