দ্বিতীয় দফায় স্পেনের কোচ হয়েছেন লুইস এনরিকে। এতে টানা সাত ম্যাচ জিতিয়েও চাকরি বাঁচাতে পারেননি তার সাবেক সহকারী রবের্তো মরেনো। চাকরি ফিরে পেয়েই মরেনোকে অকৃতজ্ঞ বলে তোপ দেগেছেন এনরিকে।
গত আগস্টে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এনরিকের নয় বছর বয়সী কন্যা জানা। ক্যান্সারে আক্রান্ত কন্যার পাশে থাকতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত জুনে স্পেন জাতীয় দল থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
এনরিকে দায়িত্ব ছাড়ার পর স্পেন জাতীয় দলকে চালিয়েছেন মরেনো। তার অধীনে সাত ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পেয়েছে ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা, টিকেট পেয়েছে ২০২০ ইউরোর মূলপর্বেও।
দ্বিতীয় দফায় চলতি নভেম্বরে এনরিকের হাতে দায়িত্ব তুলে দেয় স্প্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ২০২০ ইউরোতে দলকে পরিচালনা করবেন তিনি। ফলে, সাত ম্যাচ জিতিয়েও দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে মরেনোকে। দায়িত্ব ছাড়ার সময় তিনি কেঁদেছেন সংবাদ সম্মেলনেও।
এরপরও মন গলেনি এনরিকের। সাবেক সহকারীকে অকৃতজ্ঞ আখ্যা দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে জানালেন কেনো তার দলে রাখা হয়নি মরেনোকে, ‘যে মানুষটার কারণে রবের্তো মরেনো আমার কোচিং স্টাফে জায়গা পায়নি সে হলাম আমি।’
‘ও আমার বাড়িতে এসেছিল। বলেছিল সে ২০২০ ইউরোতে স্পেনের কোচ হতে চায়। পরে মত পাল্টে বলেছে যে সে আমার সহকর্মী হয়েই থাকতে চায়।’
‘আমি বুঝেছি সে অনেক পরিশ্রম করেছে। তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাও বেশি তবে আমার কাছে সে অকৃতজ্ঞ। আমি হলে এমনটা করতাম না এবং আমি চাই না আমার কোচিং স্টাফে এমন চরিত্রের একজন লোক থাকুক।’
স্পেনের দায়িত্বে আসার আগে বার্সেলোনা ও সেল্টা ভিগোতেও এনরিকের সহকারী ছিলেন মরেনো। মূল কোচ হয়ে আসার পর স্পেনের সহকারী কোচের দায়িত্বে মরেনোকে এনেছিলেন এনরিকে। কিন্তু তাকে টপকে তারই সহকারীর মূল কোচের দায়িত্ব চেয়ে বসাটা মেনে নিতে পারেননি বার্সাকে ২০১৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো কোচ।
‘ও কি চায় আমি বুঝতে পেরেছি, তবে তার ইচ্ছার সঙ্গে আমি একমত নই। আর এই কারণে আমি বলে দিয়েছি যে তাকে আর আমার সহকারী হিসেবে চাই না।’
‘উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা ভালো। তবে বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষা একটা দোষ, কোনো মহৎ গুণ নয়।’