সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে মার্কিন ক্যাপিটল হিলে হামলা নিয়ে তার করা পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারিতে তাকে এই দুই সামাজিক মাধ্যম থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু গত মাসে ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড তার এই প্রকাশ্য শাস্তির সমালোচনা করে।
এর পরে ট্রাম্প বলেছিলেন, এই পদক্ষেপ সেই সব মিলিয়ন মিলিয়ন ভোটারের অপমান যারা বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জন্য ভোট দিয়েছে।
ফেসবুক বলেছে, ট্রাম্পের কাজ আমাদের নীতির চূড়ান্ত লঙ্ঘন।
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক রাজনীতিবিদদের কিছু বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের বিধি থেকে রক্ষা করে এমন একটি নীতির সমাপ্তি টানছে, তখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ফেসবুক বলছে, রাজনীতিবিদদের সংবাদযোগ্য হওয়ার ভিত্তিতে প্রতারণামূলক বা অবমাননাকর মন্তব্যগুলোর জন্য তারা আর দায়মুক্তি দেবে না।
গত ৭ জানুয়ারি তার প্রাথমিক স্থগিতের সময় থেকেই নিষিদ্ধ ছিলেন ট্রাম্প।
ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার নিক ক্লেগ বলেন, যদি আমরা জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও বেশি হুমকি দেখি। তাহলে এই নিষেধাজ্ঞার সময় আরও বাড়বে। যতক্ষণ না ঝুঁকি কমবে ততক্ষণ তা বিশ্লেষণ করা হবে।
স্থগিতাদেশ শেষে ফেসবুকে ফেরার পরও যে কোনো লঙ্ঘনের জন্য দ্রুত ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞার একটি কঠোর ধারায় পড়বেন ট্রাম্প।