করোনাভাইরাস মহামারির ফের উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৮৫তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন মারা গেছেন, যা গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮ হাজার ৮৬৯ জন।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেদিন ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। আর আজ জানানো হলো ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর।
এছাড়া সংক্রমণ শনাক্তের হারও আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়: শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৪ হাজার ৬৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৬৭৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে যদিও শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত এবং মৃত্যুর হার উর্ধ্বমুখী হলেও এ নিয়ে আমাদের তেমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যে যার মতো চলাফেরা করছে। রাস্তাঘাট এবং পাবলিক প্লেসগুলোতে মাস্কের ব্যবহারও কম। কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক পরতে দেখা গেলেও তা ত্রুটিপূর্ণ। স্বাস্থ্যবিধির যেন কোনো বালাই নেই!
এভাবে চলতে থাকলে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে হবে বলেই আমাদের শঙ্কা। এমনটা যদিও কাম্য নয়। করোনা মহামারির শুরুর দিকে আমরা তা প্রতিরোধের পন্থা না জানলেও এখন সবাই তা জানি। এরপরও যদি সবাই সচেতন না হয়, তাহলে সেটা যৌক্তিক নয়। সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে মহামারি মোকাবেলা সম্ভব হবে। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহামারি প্রতিরোধে আসতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।