চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাদাসিধে আয়োজনে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

দুপুরে নয়াপল্টনে সমাবেশ

দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের কোনো সদস্যকে ছাড়াই সাদাসিধে আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার মধ্যে থেকে জন্ম নেওয়া দলটি দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও গত একযুগ ধরে নানা সংকটে ধুঁকছে।

বিশেষ করে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপি চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে বন্দি থাকা এবং লন্ডনে রাজনৈতিক অাশ্রয়ে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপস্থিতি এ সংকট আরো গভীর করেছে।

এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপির পক্ষ থেকে যে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা হয়, সেখানে দলীয় পতাকা উত্তোলন, প্রতিষ্ঠাতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আলোচনা সভাই মূল আয়োজন।

শনিাবার সকালে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পার্ঘ অর্পণ আর দুপুরে জনসভার কর্মসূচি রয়েছে।

নয়াপল্টনে জনসভা করতে ঢাকা মহনগর পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি পাওয়ার কথা এরই মধ্যে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

পরদিন রোববার বিকাল ৩টায় রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে রাখা হয়েছে আলোচনা সভা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পোস্টার প্রকাশ করা হবে।

এছাড়া শনিবার ভোরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এবং সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি ছিল।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিহীন আজকে আমাদেরকে ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে হচ্ছে। এটি অত্যন্ত কষ্টের। আমরা আশা করছি, এই কষ্ট শিগগিরই শেষ হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের এই আপোসহীন নেত্রীর জনপ্রিয়তায় অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যেও বিএনপি এখন বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বিভিন্ন সময়ে এই দলকে নিশ্চহ্ন করতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, অনেক চক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো বিএনপি আবার সজীব হয়ে উঠেছে মানুষের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে।

মির্জা ফখরুলের মতে, গণতন্ত্রের প্রতি খালেদা জিয়ার অঙ্গীকারের কারণে বর্তমান সরকার ফ্যাসিস্ট ভূমিকায় বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত ও নীল নকশার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখা এই কারণেই। কিন্তু কোনো প্রতিবন্ধকতাই গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার আন্দোলন থেকে বিএনপিকে রুখতে পারবে না। ক্ষমতাসীন এই অপশক্তিকে রুখে দিয়ে বিএনপি আবারও এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

দুপুরের জনসভায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ, সুন্দর ও ভালো জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সাফল্যমন্ডিত করার জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে।

জনসভায় কোনো বাধার আশঙ্কা করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমরা কামনা করি না যে, জনসভার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে হয়রানি করবেন। করলে, এটা দেশের জনগণ ভালোভাবে নেবে না। কর্মসূচিতে পরোক্ষভাবে কোনো বাধা দেশে মানুষ ভালোভাবে নেবে না। কারণ এটা একটি দিবস।