নদী আর সাগরের মোহনায় প্রকৃতির সৌন্দর্যের দ্বীপ নিঝুম দ্বীপ। এখানকার বালুকাময় দীর্ঘ সৈকত আর ঘন অরণ্য ভ্রমণের মধ্য দিয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয় পর্যটকদের। তবে বনে হরিণ দেখতে পেলে হয়ত সে আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যায়।
বিশাল আকৃতির মাছ ধরার ট্রলারে পর্যটকদের নিয়ে হাতিয়া থেকে নিঝুম দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা। শান্ত মেঘনা নদী। কখনও নদীর তীরের দেখা মেলে, কখনো মেলে না। মাঝে মাঝে ভেসে ওঠা চর দেখতে দেখতে সরু খাল দিয়ে এক সময় নিঝুম দ্বীপ। এরপর ছোট ট্রলারে আশপাশ ঘুরে দেখা। বনে হরিণ দেখার চেষ্টা। গোধুলি বেলায় দ্বীপের একপাশে মেঘনা নদীর পাড়ে সূর্যাস্ত দেখা।
নিঝুম দ্বীপে সন্ধ্যা নামে। বাজারকে ঘিরে ব্যস্ত সবাই। বাড়তি আকর্ষণ গরম জিলাপি মিঠাই। রাত পেরিয়ে সকাল। আবারও হরিণ দেখার চেষ্টায় সকালে গ্রামের পথ আর সাঁকো পেরিয়ে মূল বনে প্রবেশ। পথে বনের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা খাল পেরোতে হয় সাঁকো দিয়ে। ম্যানগ্রোভ বন বলে কথা তাই খুব সাবধানে এগিয়ে চলা।
এর মধ্যে কাদা এগিয়ে যাওয়াকে আরও কঠিন করে। কিন্তু থেমে থাকার উপায় নেই। হরিণের চলার পথ ধরে বনের আরও গভীরে যাওয়া। এর মধ্যে ৬ ঘণ্টা শেষ। কেউ দূর থেকে হরিণের দেখা পান আবার কেউ পান না।