এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আবু ধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় একাদশে ডাক পেয়েছেন সৌম্য সরকার। আঙুলের চোটে একাদশে নেই সাকিব। তার পরিবর্তে খেলছেন মুমিনুল হক। আর পেসার রুবেল হোসেন খেলছেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর জায়গায়।
তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্ত তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র ২০ রান। ৬, ৭, ৭! শান্তর ধারাবাহিক ব্যর্থতায়ই ১২ ম্যাচ পর আবার একাদশে ঢুকলেন ব্যক্তিগত মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্য।
৩২ ওয়ানডে খেলা সৌম্য ৩১ ইনিংসে করেছেন ৯৬৭ রান। চার অঙ্ক (১০০০ হাজার রান) থেকে ৩৩ রান দূরে এ ওপেনার। বুধবারের ম্যাচে সেটি করতে পারলে দ্রুততম হাজার রান স্পর্শ করা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে থাকবেন সৌম্য।
তালিকায় প্রথম নামটি শাহরিয়ার নাফীসের। এ বাঁহাতি ওপেনারের হাজার রান করতে লেগেছিল ২৯ ইনিংস। সমান ইনিংস লেগেছে আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের। ৩৪ ইনিংস করে লেগেছিল ইমরুল কায়েস ও নাসির হোসেনের।
বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে চলে আসে। সেখানে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখে।
হংকং এবং আফগানিস্তানকে হারালেও ভারতের কাছে দুই ম্যাচে হেরে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা মোহাম্মদ আমির টুর্নামেন্টে উইকেটহীন। পেসারদের মধ্যে প্রতিটি ম্যাচ খেলা হাসান আলী এখনো পর্যন্ত তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিং নিয়েও চিন্তায় থাকতে হবে পাকিস্তানকে। শেষ দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি এবং ভারতের বিপক্ষে তিনটি ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে তাদের। ব্যাটিংয়েও অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। টপ অর্ডারের ছয়জনের মধ্যে অন্তত তিনজন প্রতি ম্যাচেই ফ্লপ যাচ্ছেন।
ডেথ বোলিংয়ে প্রথম ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ বেশি রান দিলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করে জয় ছিনিয়ে নেন মোস্তাফিজরা।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাশরাফী এবং মিরাজ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন, মিডল-অর্ডারে মোস্তাফিজ এবং সাকিবও রান আটকাচ্ছেন। বাংলাদেশ লড়াইয়ের সংগ্রহ গড়তে পারলেই বোলারদের থেকে এমন পারফর্ম্যান্সের দেখা মিলছে। টপ-অর্ডার নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ ম্যাচে লিটন দাসের ৪১ কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে তাদের। ওডিআই ক্যারিয়ারের শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত এখনো পর্যন্ত ২০ রান করতে সক্ষম হয়েছেন।