সাকিব আল হাসান দলে না থাকার ক্ষতি দৃশ্যমান থাকে সবসময়। বড় প্রভাব পড়ে টিম কম্বিনেশনে। এ অলরাউন্ডারের জায়গায় বোলিং-ব্যাটিংয়ে আলাদা করে দু’জন নামালেও ঘাটতি পুষিয়ে নেয়া যাবে কিনা; সেটি নিয়ে থাকে দোলাচল! নিধাস ট্রফির সেমিফাইনালে রূপ নেয়া ম্যাচের আগে সেই সাকিব ফেরায় স্বস্তিতে বাংলাদেশ।
সাকিবের শ্রীলঙ্কা যাওয়ার খবর জানাতে গিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বললেন, ‘সাকিব দলে থাকা মানে প্রতিপক্ষের দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া, সে এমনই একজন ক্রিকেটার। সে দলের সঙ্গে থাকা মানেই তো স্বস্তি।’
নিধাস ট্রফিতে বোলিংয়ে সাকিবের জায়গায় খেলছেন নাজমুল ইসলাম অপু। তিন ম্যাচ খেলা এই বাঁহাতি স্পিনার পাননি উইকেটের দেখা। বোলিং বিভাগেই সাকিবের অভাব সবচেয়ে বেশি অনুভব করেছে দল।
সেখানে ব্যাটিংয়ে সাকিবের অভাব পোষাতে গেলে কমাতে হবে পেসার কিংবা বাদ দিতে হবে অফস্পিন-অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। কম্বিনেশনের কারণে সেটি সম্ভব না হওয়ায় নিধাস ট্রফির শুরুর তিন ম্যাচ ছয় ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিবের প্রত্যাবর্তনে এসব অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাবে টাইগার ম্যানেজমেন্ট।
আঙুলের ইনজুরি কাটিয়ে দেড় মাস পর যে জাতীয় দলের ডেরায় ফিরেছেন সাকিব। নিধাস ট্রফির সেমিফাইনালে রূপ নেয়া ম্যাচের আগে এ অলরাউন্ডারের ফেরার সুখবর আসে বৃহস্পতিবার দুপুরে। বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় সাকিবের অন্তর্ভুক্তির কথা।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিব খেলবেন কিনা সেটির জন্য অপেক্ষা বেড়েছে। তবে ম্যাচটি যে সাকিবের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ হতে পারে সেটির ইঙ্গিতও মিলেছে দলের দিক থেকে। ফাইনাল খেলার হাতছানি থাকছে বলে সাকিব নিজেও নামতে উদগ্রীব থাকতে পারেন। জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ কোর্টনি ওয়ালশ যদিও বললেন, পুরোপুরি ফিট না হলে ঝুঁকি নেবে না বাংলাদেশ।
‘সাকিব যদি পুরোপুরি ফিট থাকে তবেই সে খেলতে পারবে। অন্যসব ক্রিকেটারের মতোই পর্যালোচনা করতে হবে ওর অবস্থা। দেখতে হবে যে খেলার মত যথেষ্ট ফিট কিনা। যদি ফিট থাকে, তাহলে ওর মত একজন ক্রিকেটারকে বিবেচনা করতেই হবে। ওকে দেখার পরই আমরা বলতে পারব খেলতে পারবে কিনা।’