দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ব্যাটে-বলে মেলে ধরার তাগিদে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেছেন, সাকিব যদি অধিনায়ক থাকতে না চায়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের এ ব্যাপারে ভাবতেই হবে।
‘সাকিব আমাদের সেরা অধিনায়কের একজন। তার ক্রিকেট মেধা নিয়ে কারও প্রশ্ন থাকার কথা না। সাকিব যদি নিজে অধিনায়কত্ব করতে না চায়, যদি সে উপভোগ না করে তাহলে তো অবশ্যই একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকবে। সাকিব যেটা বলেছে আমি শুনেছি, ‘পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে যদি ও ক্যাপ্টেনসি না করে। আমরা তো চাই সাকিবের পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপে আমাদের এই পর্যন্ত আসার পেছনে সাকিবের একারই অবদান। টিকে থাকলেই সাকিব দলকে কিছু দিতে পারে।’
‘আমাদের অধিনায়ক নেই, এই কথাটা আমি বিশ্বাস করি না। কাউকে দিয়ে দেখতে হবে সে থাকে কি না? জাতীয় দলে তো আরও ১১ জন খেলোয়াড় আছেন। আপনি কাউকে জিজ্ঞেস করেন, তিন সংস্করণের জন্যই চেষ্টা করেন। যদি সাকিব করতে না চায়, ও যদি পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করতে চায়, নিঃসন্দেহে সেটা বিসিবিকে চিন্তা করতেই হবে’,- বলেন খালেদ মাহমুদ।
নেতৃত্বে সাকিবের অনীহার ব্যাপারটি সামনে আসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে হারের পর। সংবাদ সম্মেলনে এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘অধিনায়কত্ব যদি না করতে হয়, তাহলে সেটা সব থেকে ভালো হবে আমার জন্য। আমার কাছে মনে হয় নিজের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, ব্যক্তিগত দিক থেকে চিন্তা করলে। আর নেতৃত্ব যদি দিতেই হয়, তাহলে অবশ্যই অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করার ব্যাপার আছে।’
টেস্টের পর ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও মাঠে সপ্রতিভ দেখা যায়নি সাকিবকে। খরুচে বোলিং করার পাশাপাশি দলের বিপদে ব্যাটিংয়েও হাল ধরতে পারেননি। অথচ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলেছেন এ অলরাউন্ডার। পার্থক্যটা স্পষ্ট হচ্ছে মাঠেই। টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক অবশ্য এখনো নেতৃত্ব নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলাপে যাননি।