সাকিব আল হাসান রানআউট হয়ে সানরাইজার্স হায়দরবাদকে টানতে পারেননি। প্রতিপক্ষ দলের মোস্তাফিজু রহমান ঠিকই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের টার্গেটকে নাগালের ভেতর রেখেছেন। দ্বিতীয় জয় পেতে তাদের করতে হবে ১১৯।
সাকিব ফেরেন ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে। ম্যাকক্লেনেঘানের অফকাটারে শর্ট মিডউইকেটে ঠেলে রানের জন্য দৌড় দিয়ে নিজের জায়গায় ফিরে যান উইলিয়ামসন। সাকিব ততক্ষণে মাঝ উইকেটে! ফিল্ডারের হাতে বল দেখেও নিজে কোনো কল দেননি। যাদব বল ধরে সরাসরি ননস্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। চার বলে দুই রানে থেমে যায় সাকিবের ইনিংস।
মোস্তাফিজ প্রথম বলে আসেন অষ্টম ওভারে। তখন চার উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। নিজের প্রথম ওভার থেকে সাত রান খরচ করে যান তিনি। এরপর আসেন ১৫তম ওভারে। এই ওভারে চার রান দেন।
হায়দরাবাদ দ্বিতীয় ওভার থেকে উইকেট হারাতে থাকে। ৬ বলে পাঁচ রান করা শেখর ধাওয়ানকে ফেরান ম্যাকক্লেনেঘান। একই ওভারের শেষ বলে বিদায় করেন ঋদ্ধিমান সাহাকে (০)। শুরুর এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। ইউসুফ পাঠান এবং মোহাম্মদ নবী ২২ রানের একটি জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করে। নবী ১০ বলে ১৪ রান করে ফিরলে এই জুটি থেমে যায়।
ইউসুফ উইকেটে থাকতেই ১৭তম ওভারে ফের আক্রমণে আসেন ফিজ। কাটারের পসরা সাজিয়ে এই ওভার থেকে এক রান দেন।
মোস্তাফিজ নিজের শেষ ওভার করতে আসেন ১৯তম ওভারে। প্রথম দুই বল ডট দেয়ার পর তৃতীয় বলে ইউসুফ পাঠান তাকে ছয় হাঁকান। চতুর্থ বলটি শর্টপিচ করেন। পাঠান পুল করতে গিয়ে সীমানার কাছে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন। ১১৮ রানে থেমে যায় হায়দরাবাদ।
মোস্তাফিজ ৩.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। তিন ওভারের বেশি বল করা বোলারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম রান দিয়েছেন। ম্যাকক্লেনাঘান ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। সমান ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট পান্ডিয়ার। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট বুমরাহর।