বল হাতে শিকার তিন ব্যাটসম্যান। তাতে বিপিএলে প্রথম বোলার হিসেবে পেয়ে গেলেন একশ উইকেটের দেখা। পরে ব্যাট হাতে বিপর্যয়ের মুখে খেললেন ২০ রানের ইনিংস। ব্যক্তিগত কীর্তির ম্যাচে সেরা ক্রিকেটার হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ম্যাচটাই যে হেরে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস!
শেষ দুই ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোয়ানসের দরকার ছিল ২০ রান। হাতে দুই উইকেট। স্ট্রাইকপ্রান্তে থাকা নাঈম শেখ থিসারা পেরেরার প্রথম পাঁচ ডেলিভারি ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না! ১৯তম ওভারে ১ রান দিয়ে কুমিল্লার জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন এই লঙ্কান। শেষ ওভারে ১৯ রান ডিফেন্ড করতে বেগ পেতে হয়নি সাইফউদ্দিনের।
৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১২ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কুমিল্লার জয়ের নায়ক শেষে পেরেরাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস-১৫৩/৮, ঢাকা ডায়নামাইটস-১৪৬/৯
ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ঢাকাকে জয়ের কাছেই রেখে গিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। সাকিবও লড়ছিলেন বুক চিতিয়ে। তবে তারা সাজঘরে ফেরার পর শুভাগত হোম ও নুরুল হাসান সোহান দ্রুত আউট হয়ে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ঢাকা।
৩৩ বলে দরকার ছিল ৪২ রান। হাতে ৬ উইকেট। তখন ঢাকার দিকে হেলে ছিল ম্যাচটি। ২৪ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৪৬ করে রাসেল সাজঘরে ফিরতেই জয়ের স্বপ্ন উকি দেয় কুমিল্লার ড্রেসিংরুমে।
কুমিল্লার দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য খুব বড় ছিল না হেভিওয়েট দল ঢাকার জন্য। তবে শুরুতে কুমিল্লার বোলারদের দাপটে বোতলবন্দী হয়ে পড়েছিল ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৫০ রান আসে ৮.৩ ওভারে, ৪ উইকেট হারিয়ে। সাকিব ও রাসেল মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে আনেন ৬২ রান।
শেষ পর্যন্ত লোয়ার মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হার দেখে ঢাকা। এ জয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস ও চিটাগং ভাইকিংসের সমান ১০ পয়েন্ট হল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শুরুতেই ১ রান করা এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে ঢাকাকে দারুণ সূচনা এনে দেন আন্দ্রে রাসেল। কুমিল্লার সংগ্রহ তখন কেবল ১৭। এর দশ রান পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৭ রানে ফিরলে মুখের হাসি চওড়া হয় সাকিবের।
তখন সাকিবের হাসি বেশি বাড়তে দেননি তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাবধানী খেলে ৫১ রান যোগ করেন দুজনে। ২৮ বলে ৩৪ করার পর তামিম যখন ইনিংস বড় করার অপেক্ষায়, তখনই ডিপ মিডউইকেটে রনি তালুকদারের ক্যাচ বানিয়ে জাতীয় দলের প্রিয় বন্ধুকে সাজঘরে ফেরত পাঠান সাকিব।
তামিম ফিরলেও উইকেটে তখন খুঁটি গেড়ে বসেছেন শামসুর রহমান। সঙ্গী শহিদ আফ্রিদি। ১৪তম ওভারে দুই বলের ব্যবধানে দুজনকেই ফেরান সাকিব। শুভর উইকেটটি নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন ঢাকা অধিনায়ক।
ফেরার আগে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৪৮ করেছেন শুভ। ৩টি চারের সঙ্গে যাতে ছক্কার মার ছিল একটি। শেষদিকে ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে না পারায় সংগ্রহটা খুব একটা বড় হয়নি কুমিল্লার।