নিজেদের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রতিপক্ষের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। আফগান তারকা হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরিতে খুলনা টাইটানসকে ১৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
টস হেরে প্রথম ব্যাটে নামে ঢাকা। ওপেনিং জুটিতে প্রথম পাঁচ ওভারে ৬৭ রান তোলার পর ষষ্ঠ ওভারে আউট হন সুনিল নারিন। ওয়াইজের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ত্রিশগজেই আলি খানের হাতে ধরা পড়েন। ফেরার আগে ১৪ বলে ১৯ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
নারিন ফিরলেও ব্যাট চালাতে থাকেন প্রথম ম্যাচে ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলা জাজাই। আফগানিস্তান তারকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাট চালাচ্ছিলেন রনি তালুকারও। দুজনের যুগলবন্ধিতে ৮.৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১০০ রান হয়ে যায় ঢাকার।
রনিকে থামিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৭ বলে ২৮ রান করার পর খুলনা অধিনায়কের বলে আরিফুল হকের হাতে ধরা পড়েন রনি। এরপরই ছন্দপতন ঘটে ঢাকার।
পল স্টার্লিয়ের করা ওভারে পরপর দুই বলে ফিরে যান জাজাই ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে ফেরেন জাজাই। পাঁচ ছক্কা আর তিন চারে ৩৬ বলে ৫৭ রান করেন এ আফগান।
জাজাই ফেরার পরের বলেই শরিফুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। এক বল খেলা ঢাকা অধিনায়ক স্বভাবতই হিসাবের খাতা খুলতে পারেননি।
প্রথম ম্যাচে উড়ন্ত সূচনার পরও শেষপর্যন্ত দুইশ ছাড়াতে পারেনি ঢাকা। জাজাইসহ মিডলঅর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান দ্রুত ফেরার পর এদিনও দুইশর ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছিন। ক্রিজে ছিলেন দুই টি-টুয়েন্টি স্পেশালিস্ট কাইরেন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেল। তাতে বড় স্কোরের আশা টিকে থাকে ঢাকার।
কিন্তু ঝোড়ো ইনিংসের আশা জাগিয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি পোলার্ড। সমান দুটি করে চার-ছক্কায় ১৬ বলে ২৭ রান করে মাহমুদউল্লাহ’র হাতে সীমানার কাছাকাছিতে ধরা পড়েন। বোলার ছিলেন আফগান পেসার আলি খান।
বেশিদূর যেতে পারেননি রাসেলও। ২১ বলে ২৫ রান করে জাতীয় দলের সতীর্থ পোলার্ডের রাস্তা ধরেন তিনিও। নিজের বলেই আকাশ ছোঁয়া ক্যাচ তালুবন্দি করেন ওয়াইজ। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৮৯ করেছিল ঢাকা। শুভাগত হোমের ১০ ও নুরুল হাসান সোহানের ৯ রানের কল্যাণে সেই স্কোর ছাপিয়ে ৬ উইকেটে ১৯২ করে থামে ডায়নামাইটসরা।
খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন পল স্টার্লিং ও ডেভিড ওয়াইজ।