চেন্নাই ১৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়ার পর যেমন উড়ন্ত শুরু দরকার ছিল, কলকাতা হেঁটেছিল সে পথেই। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙার পর পথ হারিয়ে বসে তারা। ব্যাটসম্যানদের উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল শেষে দেখে ২৭ রানের হার। বিপরীতে, সাকিব-মরগানদের দাবিয়ে ধোনির চেন্নাই জিতে নিয়েছে আরেকটি আইপিএল শিরোপা।
নিজেদের ইতিহাসে ৯ বার ফাইনালে উঠে চতুর্থ শিরোপার দেখা পেলো চেন্নাই সুপার কিংস। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ছোঁয়ায় সাফল্য চূড়ার সিংহাসনে বসার অভ্যাসটা তারা যেন কিংসদের মতোই আয়ত্ত করেছে।
শুক্রবারের ফাইনাল মঞ্চে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেটে ১৯২ রান জমায় চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানের বেশি যেতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কেকেআরের বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসানের দিনটাও ভালো কাটেনি দলের মতো। বল হাতে ৩ ওভারে ৩৩ রান বিলিয়ে চার ওভারের কোটাই পূর্ণ করার সুযোগ পাননি। ব্যাট হাতে খুব প্রয়োজনের মুহূর্তে অনুজ্জ্বল থেকে ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক হাঁকিয়ে। জাদেজার বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ।
এবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে সবার আগে ফাইনালের টিকেট কাটে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের কাছে হেরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আরেকটি সুযোগ পায় দিল্লি ক্যাপিটালস। কলকাতা নাইট রাইডার্স সেখানে এলিমিনেটরে বিদায় করে আসে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। শেষে দিল্লিকে হারিয়ে গিয়েছিল শিরোপার মঞ্চে।
দুবাইয়ে ঋতুরাজ গায়কোয়ার্ড (৩২ রান, ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছয়) ও ফ্যাফ ডু প্লেসিস ওপেনিংয়ে দেন ফিফটি পেরোনো ৬১ রানের জুটি। পরে রবিন উথাপ্পাকে (৩১ রান, ১৫ বলে ৩ ছয়ে) নিয়ে প্রোটিয়া তারকা জুটিতে যোগ করেন আরও ৬৩ রান।
শেষে মঈন আলির ( ২০ বলে অপরাজিত ৩৭, ২ চার ও ৩ ছক্কায়) সঙ্গে আরও ৬৮ রান যোগ করে তিনি অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন। ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ দেয়ার সময় ডু প্লেসিসের নামের পাশে ঝলমলে ৮৬ রান, ম্যাচসেরা ইনিংসটি ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুভমন গিল ও ভেঙ্কটেশ আয়ার ৬৪ বলে ওপেনিংয়ে যোগ করেন ৯১ রান। ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৩২ বলে ৫০ করে যান শূন্য রানে জীবন পাওয়া আয়ার। গিল করে দেন ৬ চারে ৪৩ বলে ৫১ রান।
বাকিদের মধ্যে নিতিশ রানা শূন্য, সুনীল নারিন ২, অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৪, দিনেশ কার্তিক ৯, সাকিব শূন্য, রাহুল ত্রিপাঠি ২, শিভাম মাহি ২০, লোকি ফার্গুসন অপরাজিত ১৮ রানের প্রদর্শনী রেখেছেন।
জয়ের পথে শেষ মুহূর্তে ভারতের বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়া শার্দূল ঠাকুরের শিকার ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জস হ্যাজেলউড ও রবীন্দ্র জাদেজা। একটি করে উইকেট গেছে দীপক চাহার ও ডোয়াইন ব্রাভোর ঝুলিতে।