প্রথমে আন্দ্রে রাসেলের হ্যাটট্রিক, পরে ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসানের ফিফটি। দুই সেরা অলরাউন্ডারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও ম্যাচ হেরেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। চিটাগং ভাইকিংসের কাছে সাকিবের দলের হার ১১ রানে।
এই জয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রংপুর রাইডার্সের পর শীর্ষ চার নিশ্চিত করল চিটাগংও। আর শেষ চারের যেতে অপেক্ষায় থাকতে হল সাকিবের ঢাকাকে।
রাসেলের হ্যাটট্রিকের পরও ডেলপোর্টের ফিফটিতে ১৭৪ রানের ফাইটিং স্কোর গড়ে চিটাগং। জবাবে ৯ উইকেটে হারিয়ে ১৬৩ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা।
১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে গোড়াতেই হোঁচট খায় ঢাকা। স্কোরবোর্ডে এক রান উঠতেই সাজঘরে ফেরেন সুনিল নারিন (০)। আবু জায়েদ রাহির বলে ক্যাচ নেন মোহাম্মদ শাহজাদ।
দলীয় ১৭ আর ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন রনি তালুকদার। এলবিডব্লিউ হয়ে রাহির দ্বিতীয় শিকার তিনি। রানআউট থেকে তৃতীয় সাফল্য পায় চিটাগং ভাইকিংস। মিজানুর রহমানকে সরাসরি থ্রোতে ফেরান শাহজাদ।
২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দলের যখন করুণ অবস্থা, হাল ধরে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সঙ্গী জাতীয় দলের তরুণ সতীর্থ নুরুল হাসান সোহান। দুজনে ৫০ রানের জুটি গড়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু দশম ওভারে ঘটে বিপদ।
পরপর ফিরে যান নুরুল হাসান ও কাইরেন পোলার্ড। ২৩ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করে ক্যামেরন ডেলপোর্টের বলে এলবিডব্লিউ হন নুরুল হাসান। পরের বলেই সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন পোলার্ড (০)।
জোড়া উইকেট হারালেও আবার দলকে পথ দেখান সাকিব-আন্দ্রে রাসেল। দুজনের মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। যদিও একাধিবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান দুই ব্যাটসম্যান। রাসেল তো ডেলপোর্টের বলে হিটউইকেট হয়েও নো-বলের কারণে রক্ষা পান। ২৩ বলে ৩৯ রান করার পর সানাকা বলে ডেলপোর্টের হাতেই ধরা পড়েন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
রাসেল ফেরার পর শেষ তিন ওভারে ঢাকার দরকার হয় ৩১ রান। এরমধ্যেই নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে শুভাগত হোমকে (৫) ফেরান নাঈম হাসান। অন্যরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও প্রতিপক্ষে দেয়া সুযোগ নিয়ে একপাশে টিকেছিলেন সাকিব। ৪১ বলে আসরে নিজের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে অধিনায়ক আউট হতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা।
শেষ ওভারে ঢাকার প্রয়োজন হয় ১৮ রান। কিন্তু রাহির করা ওভারে ৬ রানের বেশি নিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান ও আন্দ্রে বির্চ। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৩ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ম্যাচ হারে ১১ রানে।
চিটাগংয়ের হয়ে রাহি তিনটি ও সানাকা দুটি উইকেট নেন।